সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজ্য। হাঁসখালি গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অনভিপ্রেত, হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হওয়া উচিত- এই আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজ্য। কারণ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেছেন, রেপড, প্রেগন্যান্ট নাকি লাভ অ্য়াফেয়ার্স। এই মন্তব্যের পরেই বিশেষ করে উত্তাল হয়ে সারা বাংলা। হাঁসখালি গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অনভিপ্রেত এবং এর যথাযথযোগ্য তদন্ত হওয়া উচিত, কলকাতা হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হওয়া উচিত- এই আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।
সোমবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন , হাঁসখালিতে ধর্ষণ বলবেন না কি প্রেম না অন্তঃসত্ত্বা নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন। আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী। ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।' এরপরই 'মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন', প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি আরও বলেন, 'কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ' পরিবারের লোকজন তৃণমূলের সদস্য হিসেবে অভিযোগ ওঠার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'কারও বাবা-দাদা যদি তৃণমূল করে আর সেই ছেলে যদি প্রেম করে তাহলে কার কী করার আছে। বাংলার রাজ্যটায় সবাই তৃণমূল। কী করবেন বলুন। তৃণমূলকে টানার কী দরকার? তৃণমূল শুনলেই চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।'
আরও পড়ুন, 'আরশোলা বের হলেও এখানে খবর হয়', হাঁসখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মিডিয়াকে নিশানা মমতার
অপরদিকে, এই ঘটনার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের তুলনা টেনে আরও বলেন, 'এটা কি উত্তরপ্রদেশ যে আমরা লাভ জেহাদ নিয়ে আলোচনা বসাব, এটা বাংলা। গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনওরকম রং না দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে।' তবে মমতার এই মন্তব্যের পর থেকেই বিতর্কের ঝড় রাজ্যে। গতকালই হাঁসখালিকাণ্ডে দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তবে এবার ৩৬০ ডিগ্রি মোড় ঘুরে হাঁসখালি গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অনভিপ্রেত এবং এর যথাযথযোগ্য তদন্ত হওয়া উচিত, কলকাতা হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হওয়া উচিত- এই আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। ওই আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।