সংক্ষিপ্ত

  • পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা করল কলকাতা হাইকোর্ট 
  • ভিড় কমাতে সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে প্রশাসনকে 
  • ' হাইকোর্ট যখন নির্দেশ দিয়েছে তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই 
  • 'আমদেরকে সংযমি হতে হবে' বলে জানালেন অধীর চৌধুরি

করোনা পরিস্থিতিতে পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা করল কলকাতা হাইকোর্ট। থাকবে, 'নো এন্ট্রি বোর্ড'। কোনও পুজো মন্ডপেই দর্শনার্থী নয় সবকটিই কন্টটেন্টমেন জোন, এমনটাই নির্দেশ দিল হাইকোর্টের বিচারক। এই নির্দেশ প্রকাশ হতে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আরও পড়ুন, 'পুজোর ভিড় ডেকে আনতে পারে চরম বিপদ', আশঙ্কা কেন্দ্রের

 

'জানি না এভাবে সম্ভব কিনা', কেন বললেন অধীর


এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে অধির চৌধুরী জানিয়েছেন, ' হাইকোর্ট যখন নির্দেশ দিয়েছে তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। বাঙালী দুর্গা পুজো-শারদীয়া উৎসব শুধু তো আর পুজো নয়। বাংলার মানুষকে এটা মেনে নিতে হবে। যে হারে যে করোনা বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছে। এবং এটা বলা হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে, মানে এটা সংঘাতিক ব্য়াপার। সে জায়গায় দাড়িয়ে আগে নিজেদেরকে বাঁচাবো নাকি পুজোর উৎসব উপভোগ করব, এই দুই এর মধ্যে তার পছন্দের তালিকা তৈরি করতে হবে। তবে হাইকোর্ট যেভাবে বলছে, সেভাবে চলতে গেলে পুজো আর পুজো থাকবে না। জানি না এভাবে সম্ভব কিনা। কারণ প্য়ান্ডেল তো হচ্ছে চারিদিকে, সেখানে তো কোনও বাধা বিপত্তি নেই। সরকার প্য়ান্ডেল করার জন্য টাকাও দিচ্ছে, সেখানেও কোনও বাধা বিপত্তি নেই। তবে এবার আর শারদ উৎসব বলতে যেটা বুঝি সেটা আর থাকবে না। তার জন্য আফশোষ-দুঃখ্য হলেও এবারের ব্য়াতিক্রমি জায়গায় দাড়িয়ে উৎসব মুখর মানসিকতাকে ত্যাগ করে আমদেরকে সংযমি হয়ে এই উৎসবে আমাদের অংশগ্রহন করতে হবে বলে আমি মনে করি।'

আরও পড়ুন, পুজোতে লাগাম ছাড়া ভিড়, সংক্রমণে ১৫ জেলায় 'বিপদ সঙ্কেত'

 

নজিরবিহীন রায় দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ


প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারক জানিয়েছেন , একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি মানুষ জমায়েত করা যাবে না মণ্ডপে।  রাস্তায়ও ভিড় কমাতে সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে প্রশাসনকে। জনস্বার্থ মামলায় নজিরবিহীন রায় দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রতিটি পুজো মন্ডপ কনটেন্টমেন্ট জোন হিসাবে গন্য হবে। ছোট মন্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার দূরত্ব হবে এবং বড় মন্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্ব হবে। পুজোর এরিয়া ব্য়ারিকেড করতে হবে। লাগাতে হবে 'নো এন্ট্রি বোর্ড'। উল্লেখ্য, এমনিতেই পুজোর মুখে ভিড় বেড়ে গিয়েছে। তার উপর অক্টোবার পড়তেই আবার পজিটিভিটির হার বেড়ে গিয়েছে। যা কিনা এই মুহর্তে মহারাষ্ট্রের থেকেও বেশি। প্রকাশিত  রিপোর্টে, পজিটিভিটির নিরিখে লাল কালির পড়েছে রাজ্যের ১৫ টি জেলায় উপরে। করোনায় মৃত্যু হার বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে রাজ্য়ের ৮ টি জেলার পরিসংখ্যান নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন। আবার ওদিকে হাইকোর্টে ওঠা পুজো নিয়ে জন স্বার্থ মামলায় কেরলের ওনাম উৎসবরে পর কীভাবে ৩২ শতাংশ সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে উদাহরণও টেনেছে মামলাকারিরা। আর এতসব কিছুর পর সোমবার রায় জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।