সংক্ষিপ্ত
- রোজভ্যালি কাণ্ডে নজরে মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ
- কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী
- ২০০৯ সালে চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রীকে
- তার পরে সেই চিঠি প্রত্যাহারও করে নেন তিনি
বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের চিটফান্ড মামলায় এক সাংসদকে তলব করলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন মালদহের দক্ষিণ কেন্দ্রের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। সিবিআই সূত্রে খবর, রোজভ্যালি তদন্তের সূত্রেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি লিখেছিলেন আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এ রাজ্যের বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলি নিয়ম না মেনেই সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তুলছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিযোগ, অভিযোগ জানানোর কয়েকদিনের মধ্যেই সেই চিঠি আবার প্রত্যাহারও করে নেন কংগ্রেস সাংসদ।
আরও পড়ুন- সিবিআই-এর নজরে আরও এক প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার, সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ
আরও পড়ুন- সাময়িক স্বস্তি রাজীব কুমারের, সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট
অভিযোগ, রোজিভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে 'সুসম্পর্কের' জেরেই প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করে নেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ। তাঁর এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোনও আর্থিক লেনদেন ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, নিজের প্রভাব খাটিয়ে গৌতম কুণ্ডুর ব্যবসায় সহযোগিতা করেছিলেন আবু হাসেম। এই সমস্ত বিষয়ে তাঁকে জেরা করতেই এ দিন তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল বলে খবর। এ দিন দুপুরেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স-এ এসে হাজিরা দেন তিনি।
মাস দুই- তিনেক আগে চিটফান্ড কাণ্ডে সিআইডি কর্তা রাজীব কুমারকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল সিবিআই। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারি এড়ান রাজীব। কিন্তু তার পর থেকেই চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআই-এর গা ছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। গত ২০ ডিসেম্বর কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গৌতম মোহন চক্রবর্তীকে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তাঁকে প্রায় দু' ঘণ্টা জেরা করা হয়। এর পর মালদহের কংগ্রেস সাংসদকে ডেকে পাঠানো হল।