সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে বড়সড় প্রশ্নের মুখে প্রবীণদের নিরাপত্তা
- বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই 'কেয়ারগিভার' বা পরিচর্যাকারীরা বাইরে থেকে আসেন
- তবে করোনা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে চলার অনুরোধ কলকাতা পুলিশের তরফে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্কের মধ্যে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে শহরের প্রবীণদের নিরাপত্তা নিয়ে। চিকিৎসকেরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রবীণ ও শিশুদেরই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সব চেয়ে বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বৃহস্পতিবার জাতীর উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তৃতায় ষাটোর্ধ্বদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বাড়িতে থাকলেও বয়স্কদের অনেককেই পরিচর্যা পেতে অন্যের উপরে নির্ভর করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই 'কেয়ারগিভার' অর্থাৎ পরিচর্যাকারীরা বাইরে থেকে আসেন।। বহু প্রবীণ-প্রবীণা আবার শহরের নানা বৃদ্ধাবাসে থাকেন। কোথাও তাঁদের একসঙ্গে একটি ঘরে রাখা হয়। কোথাও ঘর আলাদা হলেও পরিচর্যার জন্য নির্ভর করতে হয় বাইরে থেকে আসা লোকের উপরে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এই মুহূর্তে তাঁদের সংস্পর্শ বয়স্কদের তাহলে জন্য কতটা নিরাপদ।
আরও পড়ুন,করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ফি ৪৫০০ টাকার বেশি যেন না হয়, কড়া নির্দেশ বেসরকারি ল্যাবকে
শহরের একাধিক বৃদ্ধাবাসে একই চিত্র। সম্প্রতি দেখা গেল প্রায় সর্বত্রই বাইরের লোকজনের প্রবেশ অবাধ। সামান্য হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বা মাস্কেরও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। উত্তর কলকাতার 'ঠিকানা ওল্ড এজ হোম' এ দেখা গেল, দুপুরে কাজে আসা মহিলা কাজকর্ম শুরু করলেন হাত-মুখ না ধুয়েই। এক বৃদ্ধার জন্য জল-মুড়ির ব্যবস্থা করতে বসে তিনি বললেন, 'আমাদের ও সব লাগে না। শুনেছি, একটা বড় বিল্ডিংয়ে থাকা এক জনের করোনা হয়েছে।' পাটুলির 'আলোর দিশা' বৃদ্ধাবাসে খোঁজ করতে দেখা গেল, বাইরে থেকে লোক এসেছে শুনেই বয়স্কদের তুলে মাস্ক পরানো শুরু হল। অপরদিকে, প্রায় একই রকম দাবি শহরের একাধিক 'কেয়ারগিভার' সংস্থার। তারা জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে কাজ করতে হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ অসুস্থ বুঝলেই তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদীর আহ্বানে সাড়া , জনতা ফারফিউতে কার্যত স্তব্ধ তিলোত্তমা
কলকাতা কমিউনিটি পুলিশের আধিকারিক তথা কলকাতা পুলিশের 'প্রণাম' প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'তথ্য যাতে কেউ গোপন না করেন, সে বিষয়টি প্রতিটি সংস্থাকেই নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে প্রবীণেরা পুরোপুরি অন্যের উপরে নির্ভরশীল, তাঁদের পরিবারকে বলব, এই পরিস্থিতিতে বয়স্কদের ব্যাপারে আরও একটু দায়িত্বশীল হন। আর যে বয়স্কেরা এখনও নিজের খেয়াল নিজেই রাখতে পারেন, তাঁদের অনুরোধ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সব রকম নির্দেশিকা মেনে চলুন।'
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ