সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আবারও বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। বড়দিনের উৎসবে অনেকটাই সংক্রমণ বাড়ল কলকাতাতেও।
রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আবারও বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। বড়দিনের উৎসবে অনেকটাই সংক্রমণ বাড়ল কলকাতাতেও। শহরে ক্রিসমাস উপলক্ষ্য়ে ভীড় হওয়ার জন্যও কোভিড বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি সাধারণ মানুষের। তবে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সহ দেশের একাধিক রাজ্য নাইট কার্ফু সহ একধিক বিধি চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা শিথিল রয়েছে। এদিকে শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী (WB Health Department Bulletin রাজ্যে এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৬০০ ছুঁইছুঁই।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন ) অনুযায়ী, রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ ৫৫০ জন। যেখানে সবার শীর্ষে সংক্রমণ হয়েছে কলকাতায়।এবার একদিনে ২১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে মহানগরে। কলকাতায় মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩৩৩, ১৮১ জন। তবে এবার কলকাতার থেকে অনেকে নিচে উত্তর ২৪ পরগণা। আগের থেকে এখন অনেকটাই কম সংক্রমণ হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণায়। এখানে একদিনে ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে হাওড়াতে ৩১ জন এবং হুগলিতে ২৭ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ জন। অপরদিকে একদিনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ হয়েছে উত্তর দিনাজপুর, কালিংপংয়ে। এখানে একদিনে ১ আক্রান্ত হয়েছেন।পাশাপাশি, ২ জন করে আক্রান্ত হয়েছে পুরুলিয়ায়। ৩ জন করে আক্রান্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ারে।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন, কোভিডে মৃত্যু এবার ৫ জেলায় দাঁড়িয়েছে। তবে এবার মৃত্যু ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য়ে ১ জন করে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায়, হুগলি, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। পাশপাশি পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, নদিয়া ঝাড়গ্রামে, পূর্ব মেদিনীপুর, দার্জিলিং ,দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি, মালদহ, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, পুরলিয়া, কোভিডে আক্রান্ত মৃত্য়ু থেমেছে। উল্লেখ্য, কোভিড বর্ষে রাজ্যের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায়। কলকাতায় এখনও অবধি মোট মৃতের সংখ্যা ৫,২৯৯ বেড়ে জন। উত্তর ২৪ পরগণায় এখনও অবধি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৫।
অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৭,৪৪৬ জন। কমেছে কোভিড জয়ীর সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩২ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬,০২, ৩৭৭ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার সম্প্রতি সপ্তম দফায় কমার পর সামান্য বেড়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে সুস্থতার হার, ৯৮.৩৩ শতাংশ। রাজ্যের মানুষকে আরও তিন মাসের জন্য সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। কারণ বিয়ে, পিকনিক,ভ্রমণ এই শীতের মরশুমেই বেশি হয়। যার জেরে জমায়েত থেকে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মত প্রশাসনের।