সংক্ষিপ্ত

নতুন সিদ্ধান্তের জেরে বর্তমানে হাওড়া জেলাতে মাইক্রো কন্টাইন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা হাওড়া সদর এলাকার মধ্যে ৬৪ টি হয়ে গিয়েছে। সেখানে গ্রামীণ হাওড়াতে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ টি।

কোভিড গ্রাফে বর্তমানে গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা ( Coronavirus in West Bengal )। এদিকে সদ্য প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের( coronavirus infection within 24 hours) সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এমনকী আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছে ২১ হাজারের গণ্ডি। কলকাতার পাশাপাশি সমানতালে উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে হাওড়া, হুগলীর মতো জেলাগুলি। এদিকে রাজ্যের করোনা বুলেটিন(State Corona Bulletin) বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার কবলে পড়েছেন ১ হাজার ৮১৫ জন। শহরতলির পাশাপাশি গ্রামীণ হাওড়াতেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ। তাতে নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ। এদিকে এমতাবস্থায় জেলাজুড়ে করোনাকে বাগে আনতে নতুন মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের(Micro Containment Zone) তালিকার রদবদল করল হাওড়া জেলা প্রশাসন(Howrah District Administration)।

নতুন সিদ্ধান্তের জেরে বর্তমানে হাওড়া জেলাতে মাইক্রো কন্টাইন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা হাওড়া সদর এলাকার মধ্যে ৬৪ টি হয়ে গিয়েছে। সেখানে গ্রামীণ হাওড়াতে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ টি। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর সর্বাধিক মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে হাওড়া পৌরনিগম এলাকায়। যার সংখ্যা মোট ৪১ টি। যার মধ্যে ৬, ৮ ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ২৬, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪৪, ৪৫। অন্যদিকে বালি পৌরসভার অন্তর্গত ১, , ১০, ১৫, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা নতুন মাইক্রো কন্টেইমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে। এর পাশাপাশি হাওড়া সদর ডিভিশনের সাঁকরাইল ও ডোমজুড় ব্লকের বেশ কিছু এলাকাকে মাইক্রো কন্টাইন্টমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইভাবে হাওড়া সদর ডিভিশনের জগৎবল্লভপুর ও পাঁচলা ব্লকের কয়েকটি এলাকায় মাইক্রো কন্টাইন্টমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। একইসাথে হাওড়া গ্রামীন এলাকায় উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশনের অন্তর্গত আমতা-১ ও উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের কিছু এলাকাকে আনা হয়েছে মাইক্রো কন্টেইনমেন্টের আওতায়।

আরও পড়ুন-

জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি বড় কন্টেইনমেন্ট জোনের বদলে আলাদা আলাদা মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন করে বিশেষ নজরদারি চালালে সুফল মিলবে। বাগে আনা যাবে করোনাকে। এই মুহূর্তে হাওড়া জেলাতে কন্টেইনমেন্ট জোন না থাকলেও আগামীতে ছোট ছোট এলাকাকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় এনে সংক্রমণ আটকাবার চেষ্টা করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। এদিকে বড়দিন, নববর্ষের উদযাপের পর থেকেই হাওড়ায় বেড়েছে কোভিড গ্রাফ। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসনের নতুন কৌশলে করোনাকে কতটা আটকানো যায় এখন সেটাই দেখার।