সংক্ষিপ্ত

  • ফের মোদী-দিদি গোপন আঁতাত প্রসঙ্গ  তুলল বাম-কংগ্রেস
  •  বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন
  • প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ছাড়পত্র দেওয়া  হচ্ছে না
  • তাই সারদা চিটফান্ডের তদন্ত নিয়ে সেভাবে এগোচ্ছে না সিবিআই
     

রাজ্য়ে পুর নির্বাচনের আগে ফের মোদী-দিদি গোপন আঁতাতের  প্রসঙ্গ  তুলল বাম-কংগ্রেস। বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলেন সুজন চক্রবর্তী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস  থেকে ছাড়পত্র মেলেনি। তাই সারদা চিটফান্ডের তদন্ত নিয়ে সেভাবে এগোচ্ছে না সিবিআই। এই ঘটনাই প্রমাণ করে এখনও ভিতরে সেটিং করে চলছে বিজেপি-তৃণমূল। 

কুকুরকে ধর্ষণের অভিযোগ, বেদিয়াপড়ায় গ্রেফতার বৃদ্ধ

আজ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তীর প্রেস কনফারেন্সে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিটফান্ডের তদন্ত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও হেলদোল দেখাচ্ছে না। পিএমও থেকে অনুমতি না পাওয়ার ফলে সিবিআই তাদের তদন্তের গতি ত্বরান্বিত করতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী যখন কলকাতায় এলেন তখন একান্তে বৈঠক করলেন মমতা। তখনই কি সব কিছু সেট হয়ে গিয়েছে।

বানান ভুলেও কাটবে না নম্বর, নতুন নিয়ম চালু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি  সুজনবাবু। তাঁর দাবি, ভুবনেশ্বরে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের চারদিন আগে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই চারদিন  তিনি কী করলেন, লোকে সবই বুঝতে পারছে। এই অশুভ আঁতাতই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বিজেপি-তৃণমূল কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। তারা একই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বাম নেতার আরও অভিযোগ, রাজীব কুমারকে ছাড় দেওয়ার পুরস্কার পেয়েছেন অমিত শাহ। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শিহদ মিনারে সভা করতে দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এতেই দুজনের সেটিং ধরা পড়ে।

৭ মাসে কী দেখেছেন, রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অমিত শাহকে জানাবেন রাজ্য়পাল

কাকতালীয় হলেও এদিনই তৃণমূলের 'বাংলার গর্ব মমতা' প্রচারকে বেগ দিতে আক্রমণে নামে বিজেপি। সরাসরি রাজ্য়ে তৃণমূল নেত্রীর সততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। মমতা সততার নন, সারদার প্রতীক  বলে খোঁচা দেন এই বিজেপি  নেতা। 

পুরসভার ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় বাংলার গর্ব মমতা ক্যাম্পেন চালু করেছে প্রশান্ত কিশোর। যা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না জয়প্রকাশ। বিজেপি নেতার দাবি,আগে রাস্তায় বেরোলেই সততার প্রতীক মমতা কাটআউট লাগানো থাকত। খোদ তৃণমূলের কর্মীরা মমতাকে সততার প্রতীক বলে প্রচার চালাতেন। কিন্তু সারদার পর আর মমতার নামে কেউ সততার প্রতীক লেখেন না। ঠিক তেম নই বাংলার গর্ব মমতা ট্য়াগ লাইনও মাঠে মারা যাবে।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়প্রকাশ বলেন, বাড়ির শিশুদেরও বাংলার গর্ব মমতা বললে তারা বিশ্বাস করবে না। এখন এ রাজ্য অনেক কিছুতেই পিছিয়ে আছে। রাজ্যের মানুষকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। তৃণমূল আসলে হিন্দু বিরোধী। এ রাজ্য়ে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে সিএএ, এনআরসি-র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল।