সংক্ষিপ্ত

 

  • দেশের প্রথম জলের তলার মেট্রো রেলের কাজ প্রায় শেষের মুখে 
  •  ২০২২ সালের মার্চ মাসেই  পূর্ব পশ্চিম মেট্রো রেল চালু হয়ে যাবে  
  • আগামী দুবছরে  ২০০ মিলিয়ন টাকা আসার অপেক্ষায়  কেএমআরসি  
  •  পূর্ব পশ্চিম মেট্রো প্রকল্পের ৪৮.‌৫ শতাংশ খরচ মিটবে সেই টাকায় 

দেশের মধ্য়ে কলকাতা শহর আবার প্রথম স্থান করতে চলেছে। তার কারণ দেশের প্রথম জলের তলার মেট্রো রেলের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকেই হুগলি নদীর তলা দিয়ে পূর্ব পশ্চিম মেট্রো রেল চালু হয়ে যাওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। 

আরও পড়ুন, মঙ্গলবার বিকেলে থেকেই শুরু কলকাতা বইমেলা, জোড়াসাঁকোর আদলে হয়েছে প্রবেশদ্বার

 কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা কেএমআরসি-র এমডি মানস সরকার জানিয়েছেন, আগামী দুবছরের মধ্যে আরও ২০০ মিলিয়ন টাকা আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি থেকে পাওয়া ৪১.‌৬ বিলিয়ন টাকার ঋণের ফলে প্রকল্পের ৪৮.‌৫ শতাংশ খরচ মিটেছে সেই টাকায়। দেশের প্রথম জলের তলার মেট্রো রেলের সূচনা হলেই যোগাযোগ ব্য়বস্থা আরও শক্তিশালী হবে। 

অপরদিকে, গতবছর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী বা হাওড়ামুখী সুড়ঙ্গে গত ৩১ অগাষ্ট বৌবাজারের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে সুরঙ্গে জল ঢুকতে শুরু করে। ওই সুরঙ্গে খনন যন্ত্র টিবিএম 'চন্ডী' আটকে আছে এখন দুর্গা পিতুরি লেন এবং সেকরাপাড়া লেনের মধ্য়ে।  পাশের পূর্বমুখী সুরঙ্গ নির্মল চন্দ্র স্টিটের মুখে পৌছেছে। সেখান থেকে ডান দিকে বাঁক নিয়ে বৌবাজারের দিকে যাবে। পূর্বমুখী সুরঙ্গে আটকে আছে টিবিএম 'উর্বী'। তাকে এগিয়ে  নিয়ে গিয়ে শিয়ালদহ পর্যন্ত পূর্বমুখী সুরঙ্গের কাজ শেষ করা হবে। 
 

আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাস চিকিত্‍‌সায় প্রস্তুত বেলেঘাটা আইডি-উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, বরাদ্দ হল ১৬ বেড
 
১৯৮৪ সালে দেশের মধ্য়ে প্রথম কলকাতায় মেট্রো রেল চালু হয়েছিল। তখন উত্তর-দক্ষিণে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু হয়। এরপরে কিছু জায়গায় মাটির তলার বদলে  ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়েই, পাতাল রেলের পথ সম্প্রসারণ করা হয়।  ২০১৪ সালে পূর্ব-পশ্চিম রুটে মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণের কথা হলেও জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। এরপরে দিক পরিবর্তন করে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেএমআরসি সূত্রে খবর, তবে ১৪ কিলোমিটার পথের বদলে সেটা এখন বেড়ে হয়েছে ১৭ কিলোমিটার পথ। আর এই তিন কিলোমিটার অতিরিক্ত লাইন পাতার জন্য খরচও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এই প্রকল্পের খরচ ৪৯ বিলিয়ন টাকা থেকে দ্বিগুণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৮৬ বিলিয়ন টাকা।