সংক্ষিপ্ত

'অশনি' ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে। তবে যেহেতু বাংলার উপকূল থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে, তাই পূর্ব ভারতের কোনও জায়গাতেই এর প্রভাব সেভাবে পড়বে না। 

আরও ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। আর সেই নিম্নচাপ এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে সেটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের কাছে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও একটু শক্তি বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

'অশনি' ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে। তবে যেহেতু বাংলার উপকূল থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে, তাই পূর্ব ভারতের কোনও জায়গাতেই এর প্রভাব সেভাবে পড়বে না। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন-চার দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। বাংলায় তাপমাএা স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি বেশি থাকবে। কলকাতায় থাকবে পরিষ্কার আকাশ। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আন্দামানে ভ্রমণ স্থগিত, যাত্রীদের সময়সূচিতে বদল, অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা

যত দিন যাচ্ছে রাজ্যে ততই বাড়ছে গরম (Summer Weather)। প্রতিদিনই প্রায় হু হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা (Temperature)। সকাল থেকেই দেখা মিলছে রোদের (Morning Weather)। আর সকালের দিকটা একটু ঠান্ডাভাব (Cold Weather) থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে গরম। হাঁসফাঁসানি গরমে ওষ্ঠাগত হচ্ছে প্রাণ। তখন বাইরে বের হলেই যেন গায়ে ছ্যাঁকা লাগছে। তারপর আবার বিকেল থেকে আবহাওয়া (Evening Weather) কিছুটা হলেও ভালো হচ্ছে। কিন্তু, গরম যে কমে যাচ্ছে তা নয়। বাইরে বের হলেই সেই একই গরম দেখা যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য একটু বৃষ্টির (Rain Forecast) জন্য মুখিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী। অবশ্য বৃষ্টি নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাচ্ছে না হাওয়া অফিস। এমনকী, রাজ্যে অশনির কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ৭০ থেকে ৯০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', ১৩২ বছরে কখনও এরকম হয়নি

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ‘অশনি’র কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা কমারও কোনও লক্ষ্মণ নেই। আগামী কয়েকদিনে বাংলায় তাপমাত্রা বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা, এখন বাংলায়  পুরোমাত্রায় গরম পড়বে। ভোর বা রাতের দিকে যে শিরশিরে অনুভূতি টের পাওয়া যাচ্ছে, তারও স্থায়ীত্ব আর বেশিদিন নয়। বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করায় অস্বস্তি বাড়বে। ফলে সকালের যেটুকু আরাম পাওয়া যাচ্ছে, আর কিছুদিন তা আর পাওয়া যাবে না। তখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধুই হাঁসফাঁসানি গরম থাকবে। 

আরও পড়ুন- 'মাথা নত করব না, শেষ দেখে ছাড়ব', ইডি দফতরে হাজিরা দিতে দিল্লি পাড়ি অভিষেকের

তবে নিয়মিত ঝড়বৃ্ষ্টি, কালবৈশাখী তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। সাহায্য করতে পারে পশ্চিমী ঝঞ্ঝাও। বঙ্গোপসাগরে এই নিম্নচাপের প্রভাব সেভাবে পড়বে না। ফলে বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে আবহাওয়াবিদরা আরও বলছেন, জলীয় বাষ্প রাজ্যে ঢুকলে শুকনো গরম থেকে রেহাই মিললেও ভ্যাপসা গরমে ভুগতে পারেন বঙ্গবাসী।