সংক্ষিপ্ত

সোমবার সকাল থেকেই ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে।জলজমে গেলে সব থেকে বড় বিপদজ্জনক ইস্যুটাই হল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। । তাই আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না ্প্রশাসন।

সোমবার সকাল থেকেই ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে। ইতিমধ্যেই সকালের বৃষ্টিতে বেহালার ১২৯, ১৩০,১৩১, ১৩২ ওয়ার্ড-সহ একাধিক জায়গায় জলমগ্ন হয়েছে। ভোগান্তির মুখে শহরবাসী। তবে জলজমে গেলে সব থেকে বড় বিপদজ্জনক ইস্যুটাই হল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। যার ভূুরি ভুরি উদাহরণ শহর কলকাতায় আছে। এদিকে ইতিমধ্যেই সাধারণ ঘূর্ণীঝড় থেকে তীব্র ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হবে অশনি, পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। যার প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তাই আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না ্প্রশাসন। বৃষ্টি হলেই যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। তবুও থেকে একটা প্রশ্ন, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে এলে, জমা জলে কি বিপদের সম্ভাবনা থাকবে না।

২০২১ সালে রাজভবনের সামনে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। তারপরও সতর্ক হয়নি প্রশাসন বলে অভিযোগ। দমদমে একইভাবে মৃত্যু হয় এক কিশোরীর। তাই এবার বিশেষভাবে সতর্ক কলকাতা পুরসভা। বৃষ্টি শুরু হলেই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।  এমনই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। সোমবার কলকাতা পুরসভায় যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি শহরের বাতিস্তম্ভ গুলি থেকে যেগুলির বৈদ্যুতের তার বেরিয়ে রয়েছে, সেগুলি দ্রুত সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, 'দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি নয়', শাহ-র ডোজের পরেই ঘূর্ণিঝড়ে মমতার সরকারকে সাহায্য বার্তা শুভেন্দুর

উল্লেখ্য,  এদিন দুপুরে বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পরবর্তী সময় দ্রুত জল সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ। বিপর্যয় মোকাবিলা দফচরকে আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন, 'বাম আমলে নোবেল চুরি-ব্যর্থ সিবিআই', আক্ষেপ মমতার, 'তৃণমূলের যোগসাজসেই হয়েছে', পাল্টা রাহুল

আমফান , ইয়াসের তাণ্ডবে তছনছ হওয়া উপকূল অঞ্চলগুলিকে ফের সতর্ক করা হয়েছে । সুন্দরবনের একাধিক ব্লকে মাইকিং, গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য মৎজীবীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  সোমবার  মৎসজীবীদের সমুদ্র থেকে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাঁচা বাড়ি এবং বাধের উপর উপর বসবাসকারীরা যাতে সময়মতো ফ্লাড শেল্টারে ঢুকে যান, এনিয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।প্রায় একছবি মেদিনীপুর উপকূল এলাকাতেও। বকখালি, গঙ্গাসাগর, কাকদ্বীপ, সর্বত্র মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে প্রবল বর্ষণ বঙ্গে, পুরসভার ছুটি বাতিল, ১৩ মেয়র পারিষদকে গুরু দায়িত্ব