সংক্ষিপ্ত

 

  • শুক্রবার আংশিক মেঘলা আকাশ শহরে 
  •  একই সঙ্গে পারদ-আদ্রতা চড়ে চরমে অস্বস্তি 
  • বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামার প্রবল সম্ভাবনা
  •  ঘূর্ণীঝড়েরও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস 


শুক্রবার আংশিক মেঘলা আকাশ শহরে। একেই পারদ-আদ্রতা চড়ে চরমে অস্বস্তি। তার উপর মেঘলা আকাশ আরও বেশি যেনও উসকে দিয়েছে। যদিওআবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন  বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামার প্রবল সম্ভাবনা কলকাতা সহ রাজ্যে।  রাজ্যে ঘূর্ণীঝড়েরও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় ১৬ দফা নির্দেশিকা জারি নবান্নের, চিঠি পৌঁছল সব জেলাশাসকের দফতরে 

 

 

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সারাদিনই আদ্রতা জনিত কারণে অস্বস্তি অনুভব হবে।  এদিন  বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামার প্রবল সম্ভাবনা কলকাতা সহ রাজ্যে।
রাজ্যেও ঘূর্ণীঝড়েরও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ২০ মে নর্থ আন্দামান সমুদ্র এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। পরবর্তীকালে এটি ২৩ মে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হবে। আগামী ২৩ মে থেকে ২৫ মে এর মধ্যে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী ঘূর্ণীঝড় যশ। তবে এই  শক্তিশালী ঘূর্ণীঝড়  আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা মূলত সুন্দরবন এলাকায়। তারপর তা চলে যাবে বাংলাদেশের দিকে। এই ঝড়  ২৩ মে নাগাত নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৬ তারিখ ওড়িশা এবং বাংলাকে লক্ষ্য করে এগোতে পারে এই নিম্নচাপ। যা তারপর গভীর নিম্নচার থেকে অতিগভীর নিম্নচাপ থেকে সাইক্লোনে পরিণত হতে শুরু করবে। ২৫ তারিখ সন্ধ্যাবেলার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে হালাকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ২৫ তারিখের পর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।

আরও দেখুন, Live Covid- কোভিডে রাজ্যে একদিনে মৃত ১৬২, করোনার মাঝেই বাড়ছে ব্ল্যাক ফাংগাস আতঙ্ক 


এদিকে বাংলায় এখনও পূর্বাভাস না মিললেও কেরলে আসছে বর্ষা। কেরলে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এই চার মাস গোটা দেশেই ৭০ শতাংশ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।অপরদিকে  মঙ্গলবার   ঘূর্ণীঝড় তাউতের জেরে ভয়াবহ ক্ষতি গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক এলাকায়। প্রতি ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি বেগে বয়ে গিয়েছে।  বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং গাছ উপড়ে ফেলেছে এবং বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ করায় কমপক্ষে সাত জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মুম্বাইয়ের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে এখনও নিখোঁজ প্রায় ৯৩ জন। ঘূর্ণীঝড় তাউতের বিপর্যয় এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি মহারাষ্ট্র রাজ্যের দুটি জেলা রত্নগিরি ও সিন্ধুদুর্গ। 

 

 

আরও পড়ুন, 'টিকাকরণের অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে', নারদ সংঘাতের মাঝেই মোদী-মমতার বৈঠক 


 আবহাওয়া দফতরে খবর অনুযায়ী,শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স।  স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ২৮.৯ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। অপরদিকে এদিন শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫২ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স।  স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ২৮.৯ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নীচে। অপরদিকে এদিন শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স।  স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ২৫.৬ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নীচে। অপরদিকে এদিন শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।