সংক্ষিপ্ত
- দক্ষিণ কলকাতায় দু'টি দেহ উদ্ধার
- ঠাকুরপুকুরে উদ্ধার এক বৃদ্ধের দেহ
- হরিদেবপুর থেকে উদ্ধার এক প্রৌঢ়ের দেহ
- আত্মহত্যার পাশাপাশি দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ
একই দিনে শহরে রহস্যমৃত্যু ঘটল এক প্রৌঢ় এবং এক বৃদ্ধের। এ দিন সকালে বেহালার ঠাকুরপুকুরে একটি আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ৯২ বছরের এক বৃদ্ধের। অন্য দিকে দক্ষিণ কলকাতারই হরিদেবপুরে একটি অভিজাত আবাসনের ন' তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল পেশায় ব্যবসায়ী এক প্রৌঢ়ের।
আরও পড়ুন- দুই ভাইয়ের পচাগলা দেহ, ঘরেই পড়ে সংজ্ঞাহীন বোন, খিদিরপুরে রহস্য
এ দিন সকালে হরিদেবপুর থানা এলাকার একটি বহুজাত আবাসনের চত্বরের মধ্যেই এ দিন সকালে প্রমোদ জালান (৫৪) নামে এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উনিশতলা ওই আবাসনের ৯ তলায় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন ওই ব্যবসায়ী। ওই আবাসনেরই অন্য ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁর স্ত্রী এবং জামাই। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন প্রমোদবাবুর স্ত্রী। সেই সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রমোদবাবু নিজেই। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন প্রমোদবাবু। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
এর পাশাপাশি বেহালার ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগরে এ দিন সকালে রাস্তার উপরে এক বৃদ্ধের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতের নাম নগেনচন্দ্র বাওয়াল (৯২)। যেখানে তাঁর দেহ পড়েছিল, তার পাশেরই একটি পাঁচতলা আবাসনে মেয়ে, জামাইয়ের সঙ্গে থাকতেন ওই বৃদ্ধ। প্রতিদিন সকালে তিনি ছাদে পায়চারি করতে যেতেন। এ দিন সকালেও তিনি ছাদে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই রাস্তার উপর তাঁর দেহ পাওয়া যায়। বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের ধারণা, কোনওভাবে অসাবধনতাবশত পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।