সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের ২২টি জায়গায় বিশাল এলাকায় পর্ষদের খামার রয়েছে
- যেখানে পর্ষদের খামারে জৈব পদ্ধতিতে আনাজ চাষ করা হয়
- খাদ্যসামগ্রী হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেলে অর্ডার দেওয়া যাবে
- 'সুফল বাংলা'র স্টলেও খাদ্যসামগ্রী ইতিমধ্য়েই পাঠানো হচ্ছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এখন শহরের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। তাই লকডাউন চলাকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে দিনভর কাজ করে চলেছে পর্ষদ। একই ভাবে কলকাতা ও বিধাননগর পুর এলাকাতেও বিভিন্ন কাউন্সিলরেরা তাঁদের ওয়ার্ডে থাকা প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, লকডাউন কেড়ে নিল এক দুঃস্থ ব্যক্তির প্রাণ, সাউথ পোর্ট থানা এলাকায় চাঞ্চল্য
রাজ্যের ২২টি জায়গায় বিশাল এলাকা জুড়ে পর্ষদের খামার রয়েছে। যেখানে পর্ষদের খামারে জৈব পদ্ধতিতে আনাজ চাষ ছাড়াও গবাদি পশু প্রতিপালন করা হয়। পর্ষদের প্রশাসনিক সচিব সৌম্যজিৎ দাস জানিয়েছেন, 'দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খামার থেকে আসা আনাজ ও মাছ-মাংস প্রতিদিন ভোরে গাড়ি করে সল্টলেকে পৌঁছে দিচ্ছে। এরপরে সকাল থেকে ১০টি ই-রিকশায় করে ওই সমস্ত খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।' তিনি জানান, খাদ্যসামগ্রী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর- ৯১৬৩১২৩৫৫৬ এবং ইমেলে অর্ডার দেওয়া যাবে। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সল্টলেক ও নিউ টাউনে বহু একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকেন। সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে আমাদের গাড়ি, বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।'
আরও পড়ুন, লকডাউনে জরুরি পরিষেবা দিতে সরকারির সঙ্গে চলবে ২২ বেসরকারি বাস, জানুন বিস্তারিত
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছেই পর্ষদের ই-রিকশা থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে পেরে খুব খুশী সল্টলেকের বিডি ব্লকের বাসিন্দা।পর্ষদের প্রশাসনিক সচিবের কথায়, 'সল্টলেক, নিউ টাউন ছাড়াও হাওড়ার আন্দুল ও দমদমে ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে আমরা খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছি।' মন্ত্রী সুব্রতবাবু বলেন, 'জরুরি পরিস্থিতিতে কলকাতা ও সল্টলেকের সরকারি 'সুফল বাংলা'র স্টলেও সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের খামারে চাষ করা খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।'
আরও পড়ুন, এবার নিজের খরচে হোটেলেও থাকা যাবে কোয়রান্টিনে, জানাল স্বাস্থ্য দফতর