সংক্ষিপ্ত
'অপরাধীরাই তো এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে, পুলিশের হিম্মত নেই ওদের গায়ে হাত দেওয়ার, রহড়া বোমা বিস্ফোরণে এক তরুণের মৃত্যুর পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
'অপরাধীরাই তো এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে, পুলিশের হিম্মত নেই ওদের গায়ে হাত দেওয়ার, রহড়া বোমা বিস্ফোরণে এক তরুণের মৃত্যুর পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, রহড়া থানা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে শনিবার মৃত্যু হয় এক তরুণের। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার রহড়া থানার অদূরে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনায় এমনিতেই শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়-সহ বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর সেই তদন্ত নিয়েই এদিন সকালে নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন সকালে দিলীপ ঘোষ বলেন,' সংবাদমাধ্যমে আমরা রোজ দেখি, কোথাও না কোথাও গুলি -বোমা বিস্ফোরণ চলছে। পুলিশ কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে, বলে প্রশ্ন তোলেন এদিন তিনি। অপরাধীরা তো এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে। পুলিশের হিম্মত নেই। তাঁদের গায়ে হাত দেওয়া তো দূর, পুলিশ একটা এফআইআর-ও নিতে পারে না।' প্রসঙ্গত, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগণার রহড়া থানার পিছন থেকে মাঠে আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন শেখ সাহিল নামে তরুণের দাদু। স্টিলের একটি কৌটা মতো দেখতে পান তিনি।ওই কোটোটি বালতিতে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর ওই কৌটোটি তরুণের হাতে চলে আসে। কৌটটি এরপর বাড়ির সামনের ল্যাম্পপোস্টে ছুঁড়ে মারতেই বিস্ফোরণ ঘটে । ছিন্ন ভিন্ন হয়ে শেখ সাহিলের শরীর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ সাহিলকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বিএন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি । চিকিৎসরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, 'নেপথ্যে শুভেন্দু', ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই নোটিশ পেতেই বিস্ফোরক তৃণমূল
আরও পড়ুন, 'সীতা'-কে নিয়ে মন্তব্যের জের, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট ত্রিপুরা পুলিশের
এদিন দিলীপ ঘোষ বগটুই প্রসঙ্গ টেনে বলেন,' বগটুইকাণ্ডে পার্টির নেতারাই সবচেয়ে বড় অপরাধী।মুখ্য়মন্ত্রীকে তার নাম সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে। কী করে আমরা আশা করতে পারি, পুলিশ কিছু করবে।' তবে বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ পেয়ে এখন রাজ্য জুড়েই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এরপর উদ্বার হওয়া বোমার সংখ্যা তাক লাগানোর মতো। এনিয়ে দিলীপ আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলার পর লোক দেখানোর জন্য সামনে নিয়ে আসা হয়েছে কিছু জিনিস। আসল অস্ত্র কোথায় আছে, কার কাছে আছে, সব জানে পুলিশ। পুলিশ খোঁজ করবে না। পঞ্চায়েন নির্বাচনের সময় সেই অস্ত্র নিয়েই পুলিশ-অপরাধীরা একসঙ্গে আমাদের উপর হামলা করেছে।'