সংক্ষিপ্ত
'৫০০ টাকার লোভে যারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, আজ তারাই বেশি আক্রান্ত', সাতসকালে বিস্ফোরক দিলীপ। ঝড়-বৃষ্টি শেষে স্বস্তিতে নিউটাউনে এদিন প্রাতঃভ্রমণ সেরে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
'৫০০ টাকার লোভে যারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, আজ তারাই বেশি আক্রান্ত', সাতসকালে বিস্ফোরক দিলীপ। ঝড়-বৃষ্টি শেষে স্বস্তিতে নিউটাউনে এদিন প্রাতঃভ্রমণ সারলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই ফুরফুরে মনে তৃণমূলকে একেবারে জোরালো তোপ দেগে ঘাসফুল শিবিরে পারদ চড়িয়ে দিলেন। এদিন তিনি বলেন, যারা ৫০০ টাকার জন্য প্রলুব্ধ হয়েছিলেন, যাদের বলা হয়েছিল দুয়ারে রেশন কিংবা অন্য কোনও ভাতার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল, সেই অতি সাধারণ মানুষগুলিই আজকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত।'
মে মাসে ফের বসছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। চলবে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিও। তবে মে মাসে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের প্রাক্কালে দুইটি সরকারি প্রকল্পের প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই গত মাসে নবান্নে জরুরী বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। অনাবৃষ্টি জন্য রাজ্যে কার্যত দাবদাহ চলছে। নবান্ন সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কীভাবে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কীভাবে সরকারি ক্যাম্প গড়ে তোলা যায়, এনিয়ে মুখ্যসচিব থেকে বিডিও পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়।জানা গিয়েছে ৫ মে থেকে ৫ জুন অবধি চলবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি।নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ১.৩৭ লক্ষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হয়েছে। ৬ কোটি ৪৪ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে এসেছেন। তার মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন। আর ঠিক মমতার-র 'দুয়ারে সরকার'-র দোরগড়াতেই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, শুভেন্দু বসায় ভেঙে পড়েছিল খাট, ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারকে নতুন করে কিনে দিল তৃণমূল
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, গত বছর পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাস একটা কলঙ্কিত বছর। যারা বলেছিলেন যে মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন, তারাই আঝকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। মানুষ হাহাকার করছে। যারা ৫০০ টাকার জন্য প্রলুব্ধ হয়েছিলেন, যাদের বলা হয়েছিল দুয়ারে রেশন কিংবা অন্য কোনও ভাতার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল, সেই অতি সাধারণ মানুষগুলিই আজকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। একটা বছরও যায়নি, একটা ফুল মেজরিটি সরকার কী করে ধীরে ধীরে মানুষের থেকে সরে যাচ্ছে। মানুষ হাহাকার করে চলেছে। গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটা একটা কলঙ্কময় বছর হয়ে থাকল।'
একুশের ভোট পরবর্তী হিংসার কথাও এদিন তুলে আনেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের ৬০ জন কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন। তাই এদিন প্রাতঃভ্রমণের পর নিহতের আত্মার শান্তি কামনায় কলকাতার সর্বমঙ্গলা ঘাটে তর্পণ করেন বিজেপি নেতা।