সংক্ষিপ্ত
আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে জানুয়ারি মাসে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার। এবারের দুয়ারে সরকারের প্রকল্পে নয়া গাইড লাইন নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে জানুয়ারি মাসে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar Camp)। এবারের দুয়ারে সরকারের প্রকল্পে নয়া গাইড লাইন নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে কয়েকটি নয়া প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মৎসজীবী ক্রেডিট কার্ড, আর্টিশন ক্রেডিট কার্ড, ওয়েভার ক্রেডিট কার্ড অন্তভুক্ত করা হয়েছে নতুন প্রকল্প হিসাবে। চলুন এবারে জেনে নেওয়া যাক আরও কোন কোন প্রকল্প থাকছে এবারের দুয়ারের কর্মসূচিতে।
খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী, জাতিগত শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, তপশিলি বন্ধু, রুপশ্রী, কন্যাশ্রী, মানবিক, লক্ষীর ভান্ডার, জয় জোহার, কৃষক বন্ধু, কিষান ক্রেডিট কার্য়, ১০০ দিনের কাজ,স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ঐক্যশ্রী, ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত বিষয়, আধার সংক্রান্ত বিষয়, মিউটেশন সংক্রান্ত কাজ, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড,আর্টিশন ক্রেডিট কার্ড, ওয়েভার ক্রেডিট কার্ড, কিষান ক্রেডিট কার্ড। মূলত এই প্রকল্পগুলি এবার দুয়ারে সরকার প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবে রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত, পৌরসভা ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে এই প্রকল্প করতে হবে। রাজ্যের শুধু সরকারি আধিকারিকরাই এই প্রকল্পে কাজ করতে পারবে।
আরও পড়ুন, KMC Mayor: ফের কলকাতার মেয়রপদে ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি অতীন ঘোষ
নবান্ন সূত্রে খবর, এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে কারিগরি শিক্ষা দফতরের আমার কর্মদিশা নামে একটি অ্যাপকে যুক্ত করা হবে। কারিগরি শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাসে ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যদিও এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে আগামীদিনে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে দফতর। দুয়ারে সরকার শিবিরে দফতরের কর্মীরা এই অ্য়াপের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের বিষয়ে যুবক-যুবতিদের সাহায্য করবেন। বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও প্রশিক্ষকরা কাউন্সিলরের ভূমিকায় উপস্থিত থাকবেন। এখানেই শেষ নয়, প্রতি জেলায় দায়িত্ব থাকবেন একজন করে প্রজেক্ট ম্যানেজার। মূলত প্রতিটি জেলার দুয়ারে সরকারকে তাঁদের যুবক-যুবতীর সঙ্গে এি শিক্ষক ও প্রশিক্ষকরা কথা বলে কর্মসংস্থানের পথ দেখাতে পারেন। এটাই লক্ষ্য কারিগরি দফরতরে।
প্রসঙ্গত কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যবাসীর কাছে সরকারের যাবতীয় পরিষেবার পৌছতেই চালু হয় দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।সেই প্রকল্প ব্যাপক সাফল্য পায়। কোনওরকম জটিলতা ছাড়াই কম সময়ের মধ্য়ে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে প্রয়োজনীয় সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন সাধারন মানুষ। এতদিন ধরে যাদের এতদিন বিভিন্ন সার্টিফিকেট আটকে ছিল, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়ে গিয়েছেন তারাও। ফলে রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলেছে এই প্রকল্প।