সংক্ষিপ্ত

  • মাস্কের কালোবাজারি আটকাতে শহরজুড়ে ইবির তল্লাসি
  • শ্যামবাজার মেডিকেল স্টোরে হানা দেয় ইবি
  • কেন বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করছেন প্রশ্ন বিক্রেতাকে
  • যার উত্তরে কী বললেন ওষুধের বিক্রেতা

 

মাস্কের কালোবাজারি আটকাতে শহরজুড়ে ইবির তল্লাসি। রবিবার ছুটির দিনে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ শ্যামবাজার মেডিকেল স্টোরে হানা দেয়। কলকাতা পুলিশের এমন পদক্ষেপে খুশি সাধারণ মানুষ। তবে ব্যাবসায়ীরা জানাচ্ছেন,বাইরে থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মাস্ক। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা দিয়ে মাস্ক কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। মাস্কের কালোবাজারি রুখতে পুলিশের উচিত, পাইকারি বাজারে হানা দেওয়া। তাহলেই সমস্যা মিটবে।

ঘোষণার আগেই করোনা বিপত্তি,পিছোতে পারে পুরভোট

এদিকে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১০৮ ছাড়িয়েছে। সার্কদেশগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের কথা বলে জরুরি ফান্ড তৈরির জন্য় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সার্কভুক্ত দেশগুলিতে করোনা প্রতিরোধে  ১ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরামর্শ দিয়েছেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে৷ 

দলে এলেও পদ্ম কাঁটা, শোভনকে মেয়র প্রোজেক্ট করবে না তৃণমূল

যদিও হঠাৎই এই অত্যাবশ্যক পণ্য়গুলিউ বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। যা নিয়ে চলছে কালোবাজারি। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ আটকানোর জন্য দরকার N-95 মাস্ক৷ কিন্তু এই মাক্স তো পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। সাধারণ সার্জিক্য়াল মাস্ক পেতেই সমস্য়ায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, কোথাও মাস্ক পাওয়া গেলেও তা কিনতে ৩০০-৪০০টাকা দিতে হচ্ছে। ২০ টাকার মাস্ক বিক্রি  হচ্ছে ৬০ টাকায়।

করোনার তথ্য গোপন করে বিপাকে মহিলা, এফআইআর দায়ের আগ্রায় 

এদিকে  বিক্রেতাদের দাবি, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ নেই৷ এখন ওষুধের দোকানে যে সব ক্রেতা আসছেন,তাদের একটাই চাহিদা মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার৷ রবিবার  বেলুড় মঠের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দজি মহারাজ সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য় সংস্থা থেকে শুরু করে সবাই বলছে, একসঙ্গে সমবেত হওয়া থেকেই  এই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই  মঠের তরফ থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। 

মনে করা হচ্ছে, যে ধরনের বিধিনিষেধ শুরু হতে চলেছে সেখানে, তাতে করে ভক্তদের যাওয়াই কার্যত বন্ধ হতে চলেছে। কারণ,  ভোগ বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য়। একসঙ্গে বসে সন্ধ্য়ারতি  দেখা আর সেইসঙ্গে 'খণ্ডন-ভব-বন্ধন' শোনার সেই স্বর্গীয় অনুভূতিও আর অনুভব  করতে পারবেন না ভক্তরা। এমনকি সেখানে গেলে মিলবে না মঠের অধ্য়ক্ষের  দর্শনও। শুধু তাই নয়। সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে দীক্ষা দেওয়াও। 

সুবীরান্দজি মহারাজের কথায়, "মঠের প্রেসিডেন্ট মহারাজ আপাতত শিষ্যদের দীক্ষাদান স্থগিত রেখেছেন। একই সঙ্গে তিনি ও মঠের অন্যান্য মহারাজরা আগত ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ রেখেছেন। এখন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মঠে সমস্ত রকম জমায়েতের উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেলুড় মঠের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গেস্ট হাউজটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে মঠে ভোগ বিতরণ, প্রেসিডেন্ট মহারাজকে দর্শন এবং মন্দিরে আরতির সময় একসঙ্গে বসে আরতি দেখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল। তবে ভক্তদের মঠে আসার উপরে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।"