সংক্ষিপ্ত

  • গত ২৮ মে ভোট শেষ হতেই তৃণমূল ছাড়ার ধূম পরে গিয়েছিল
  • সেই হাওয়াতেই নাম লিখিয়েছিলেন হালিশহরের তৃণমূল কাউন্সিলাররা
  • এবার তাঁদের ঘরে ফেরার পালা

একেই কি বলে ঘরের ছেলের ছেলের ঘরে ফেরা? গত ২৮ মে ভোট শেষ হতেই তৃণমূল ছাড়ার ধূম পরে গিয়েছিল। সেই হাওয়াতেই নাম লিখিয়েছিলেন হালিশহরের তৃণমূল কাউন্সিলাররা। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের ৮ কাউন্সিলার। দেড় মাসও গেল না, ঘর বাওপাসি শুরু হয়ে গেল তাঁদের। অনুষ্ঠানের পৌরহিত্য করলেন ফিরহাদ হাকিম।

ঠিক কেন ফেরত এলেন এই কাউন্সিলররা? যুক্তি দিলেন ফিরহাদই। তাঁর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যতটা সম্মান পেয়েছিলেন তাঁরা, বিজেপিতে গিয়ে তা পাননি, সেই কারণেই ঘরে ফিরলেন একদা বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। 

আরও পড়ুনঃ সব্যসাচী কাণ্ডে দলের কাছে ক্ষমা চাইলেন ফিরহাদ, কীসের আফসোস পুরমন্ত্রীর
'ফিরহাদ হাকিম দাদার মতো', অনাস্থার খবরে গান্ধীগিরি সব্যসাচীর
 

এদিন মুকুল পুত্র বলেন হালিশহরের মানুষ ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে। সামনের পুরসভা ভোটেও তারাই জেতাবে। মুকুল পুত্রের দাবি, এই ঘরবাওপাসিও স্বেচ্ছাকৃত নয়। অনেকেই নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং বলছেন পরিস্থিতির চাপে পরে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  মুকুল পুত্র এদিন ফিরিস্তিও দেন হালিশহরে তাঁর কাজের। এই মুহূর্তে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কথা ভাবছে বিজেপি। মুকুল পুত্রের দৃঢ় বিশ্বাস ভবিষ্যতে এই পুরবোর্ড গেরুয়াই থাকবে।

অন্য দিকে গোটা ঘটনায় উৎফুল্ল ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট মত, হালিশহরে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের জোর করে  নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিজেপিতে।  ফিরহাদের সরেস মন্তব্য, বাঘকে জঙ্গল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া যায়, বাঘের মন থেকে জঙ্গল দূর করা যায় না।