সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। সক্রিয় রাজনৈতিতে থেকে সরেও আসতে চেয়েছিলেন তিনি।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের (Rabiranjan Chatterjee)মৃত্যু হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সরকারের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দফতের মন্ত্রিত্বের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে জানান হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেব প্রাক্তন বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ২০ দিন আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়,  বলেও জানিছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিধায়ক। দলের প্রাক্তন বিধায়কের মৃ্ত্যুতে শোকস্তব্ধ  দলের কর্মীরা। 

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। সক্রিয় রাজনৈতিতে থেকে সরেও আসতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাননি তিনি। দলও তাঁকে প্রার্থী করেনি। বিধানসভা ভোটের আগেই তিনি চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন শারীরিক কারণে ভোটে দঁড়াবেন না তিনি। দল তাঁকে প্রার্থী না করলেও কিন্তু দল তাঁকে বর্ধমান উন্নয়ন পর্যদের চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। 

শিক্ষার আঙিনা থেকে রাজনীতিতে এসেছিলেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী পড়ুয়া ছিলেন তিনি। স্বর্ণপদকও পেয়েছিলেন তিনি। অধ্যাপক হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। শিক্ষক হিসেব ছাত্রমহলে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। শিক্ষামহল থেকে রাজনীতিতে এলেও পডুয়াদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। শিক্ষাবিদের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ হয়েও তিনি মানুষের নজর কেড়েছিলেন। মৃদুভাষী এই ব্যক্তিকে দলের নেতাকর্মী সকলেই শ্রদ্ধা করতেন।

Watch Video: গ্লাসগোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দলবদলের প্রস্তাব, তারপর কী হল দেখুন 

PM Modi: জলবায়ু সামিট মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর মুখে 'সূর্ষোপনিষদ', এক গ্রিড নিয়ে আশাবাদী মোদী

Bypoll result 2022: অসমে দলবদলুদের নিয়ে বাজিমাৎ বিজেপির, মেঘালয়াতে কোনঠাসা কংগ্রেস

 

২০১১  সাহিত্যিক মহাশ্বেতাদেবীর সুপারিশে তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী করেছিল রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে। প্রথমবার ভোটযুদ্ধে সামিল হয়েই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। পরে মমতার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বচনেও জয়লাভ করেছিলেন রবিরঞ্জন। কিন্তু সেবার আর  তৃণমূল তাঁকে মন্ত্রী করেনি। তবে ২০২১ এর নির্বাচনের আগেই তিনি জানিয়েছিলেন তিনি ভোটযুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে চান।