সংক্ষিপ্ত

মুচিপাড়া কাণ্ডে তৃতীয় এফআইআর দায়ের হয়েছে কলকাতায়। ক্লাব ভাংচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে

মুচিপাড়া কাণ্ডে তৃতীয় এফআইআর দায়ের হয়েছে কলকাতায়। ক্লাব ভাংচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ক্লাব ভাংচুরের ঘটনায় এফআইআর করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন, 'দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত-উনি কি ক্রিমিনাল', সজল ঘোষের গ্রেফতারিতে সরব দিলীপ-শুভেন্দু-কুণাল
জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির আইপিসি ৪২৭,৩২৩,১৪৭,১৪৮,১৪৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ধারাগুলি সবকটিই জামিন যোগ্য। শনিবারই ধৃতদের আদালতে তোলা হবে।  সজল ঘোষের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন,'  পুলিশ দিয়ে বাড়ির দরজা ভাঙা হয়েছে। পুলিশের থেকে জবাব চাই ধস্তাধস্তি এবং নোংরা ভাষা কেন ব্যবহার করেছে তাঁরা। এরপর এই বিষয়ে আদালতে যাব।' এই ঘটনায়,বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ' যে কোনও একটচা ইস্যু নিয়ে বিজেপির লোকজনকে কেস দেওয়া, ভয় দেখানো চলছে। ক্লাবে কে কাকে ইভটিজিং করছে তার জন্য একজন বিজেপি নেতার বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেফতার করা হল। উনি কি ক্রিমিনাল নাকি' বলে প্রশ্ন তুলেছেন এবং  'সজল ঘোষেরও পাশে' থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন  দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার রাতে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

আরও পড়ুন, ফের শহরে BJP কর্মীদের উপর হামলা, বেধড়ক মারধর-দোকান ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

 প্রসঙ্গত, স্থানীয় সূত্রে খবর,১৫ অগষ্টে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি পর্ব চলছিল শিয়ালদহের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ক্লাব শিয়ালদহ মেন্স বেঞ্চের সদস্যদের। অভিযোগ, ঠিক তখনই প্রায় ২০০ জন দুষ্কৃতী তাদের ওপর চড়াও হয় এবং ভাঙচুর করে ক্লাব। ক্লাবের সদস্যদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। লুঠপাঠ করা হয় তাঁদের জিনিসপত্রও। অভিযুক্তরা শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি বলে দাবি ক্লাব সদস্যদের। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁদের ওপর এই হামলা বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির মূলত ৪৯  নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা দেবাশীষ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ওরফে কান কাটা দেবু এবং তার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। তারই দলবল এই তাণ্ডব চালায় বলে ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ। 

আরও পড়ুন, 'চিকিৎসকদের উপর হিংসা বন্ধ হোক', স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কী বার্তা অর্জুন দাশগুপ্তের

এই ঘটনায় আহত হন ৩ জন। এই সংঘর্ষর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথমে মুচিপাড়া থানায় গিয়েছিলেন সিংহবাহিনীর প্রেসিডেন্ট  দেবদত্ত মাঝি এবং বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এদিকে বাড়ি ফিরতেই সজল ঘোষ জানান, ' পুলিশ আমার বাড়ি ঘিরে ফেলছে কারণ তারা আমাকে গ্রেপ্তার করবে।  আমি জানতে চাই আমার অপরাধটা কী' বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।' গ্রেফতার হওয়ার আগে এটাই সজল ঘোষের শেষ কথা। এরপরেই ঘটনা মোড় নেয়। বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। এদিকে নিরাপত্তাগত কারণে শনিবার মুচিপাড়া থানা থেকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে।

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

 

YouTube video player