সংক্ষিপ্ত

বালি বিলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সই না করায় সেখানে নির্বাচন সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আর এবার হাওড়া পুরসভার নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যপালকে নাম না করে ‘দাদু’ বলে কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 

রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে ৬টি পুরনিগমেও ভোট সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র হাওড়া পুরনিগম ও বালি পুরসভায় ভোট হয়নি। বালি বিলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সই না করায় সেখানে নির্বাচন সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আর এবার হাওড়া পুরসভার নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যপালকে নাম না করে ‘দাদু’ বলে কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 

রবিবার উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখানেই তাঁকে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার উত্তরে তিনি বলেন, "হাওড়া পুরসভার নির্বাচন আছে। ও এমনিই জিতে যাব। কারণ এখানে অনেক কাজ হয়েছে। ওই দাদুটা রয়েছে, তিনি আটকে রেখেছেন। রাজভবনে দু-তিনবার গিয়েছি। আবার ডাকছেন। নেত্রীকে বলে যাব। এবার গেলে হয়তো ওটা ছেড়ে দেবেন। কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। নির্বাচন আটকে রেখেছেন দাদু, আমরা নই। আমাদের কলকাতার সঙ্গেই আপনাদের নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ওঁর জন্যই সেটা হয়নি। সেই সব হয়ে যাবে।"

আরও পড়ুন- 'হাওড়া-বালি বিলে সই না করলে রাজ্যপালকে হাওড়ায় ঢুকতে দেব না', বিস্ফোরক প্রসূন

উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২১ সালের প্রথম দিকেই ফের বালিকে হাওড়া থেকে ভাগ করা হবে এমন একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১ পাশ করানো হয়। কিন্তু, সেই বিলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল সই না করায় হাওড়া পুরনিগম ও বালি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। তবে হাওড়ার পুরসভা নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ফিরহাদ। পাশাপাশি এখন থেকেই যে তৃণমূল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "এবার ২৪ এ খেলা হবে। এই যে ১৮টা সিট ওরা পেয়েছে, এবার একটা সিটও বাংলা থেকে ওরা পাবে না। আমরা এগিয়ে যাবই, যেখানে যেখানে আমাদের সম্ভাবনা আছে। মানুষ কি চাইছে, কাকে চাইছে, সেই রিপোর্ট তৈরি করে আমরা নেত্রীকে দেব। ২৪-এ লড়াইয়ের জন্য আমাদের এখন থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করতে হবে।"

আরও পড়ুন- 'মোদী-যোগী চুপ কেন', উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছে সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস

নেতাজির 'দিল্লি চলো'-র ডাকের সঙ্গে তুলনা করে বাংলা থেকে দিল্লি চলার ডাক দিয়ে ফিরহাদ বলেন, "নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস বলেছিলেন দিল্লি চলো। তখন বাংলা থেকে আমরা দিল্লি যেতে পারিনি। এবার আমরা সুযোগ পেয়েছি। এবার আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, দিল্লি চলো, দিল্লি চলো, দিল্লি চলো।"

আরও পড়ুন, হাঁসখালিকাণ্ডে রিপোর্ট পড়ে কী নির্দেশ দিলেন নাড্ডা, এবার কি বড় পদক্ষেপের পথে বিজেপি