সংক্ষিপ্ত
- এবার শুরু হল মৎস্য উৎসব, শহর কলকাতার নলবনে
- উদ্যোক্তা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স ও রাজ্য মৎস্য দফতর
- মাছের সুস্বাদু পদ নলবনে ভেড়ির পাড়ে বসে খাওয়াও যাবে
- এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা এখানে প্রশিক্ষণ দেবেন মৎস্যজীবীদের
শীত পড়তেই বাজারে নতুন সবজি, আর তার সঙ্গে হরেক রকমের পদ বাঙালির খাবার পাতে। তবে শীতের অলস দুপুরে খাবারের পাতে হিট লিস্টে থাকে অবশ্য়ই বাঙালির পছন্দের মাছের পদ। তাই যতই জাঁকিয়ে শীত পড়ুক বাঙালি বাজারে মাছের খোঁজ নিতে যাবে না এটা হতে পারে না। কানকো দেখে, দরদাম হাকিয়ে মাছ কিনে তবে শান্তি পায় বাঙালি। আর সেই বাঙালির রসনা তৃপ্তি করতে এবার শুরু হল মৎস্য উৎসব, কলকাতার নলবনে। এর উদ্যোক্তা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এবং রাজ্য মৎস্য দফতর।
আরও পড়ুন, মোদীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ফিরহাদ, মমতার মাস্টারস্ট্রোক দেখছে রাজনৈতিক মহল
শুক্রবার নলবনে শুরু ফিশ ফেস্টিভ্যাল যার উদ্বোধন করলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।এই উৎসব চলবে রবিবার ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়াও উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, বেলগাছিয়ার প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাস প্রমুখ।এছাড়াও এবারের মেলায় বিশেষ আকর্ষণ হল ভিনদেশী খাবারের স্টল ৷
আরও পড়ুন, আজ ইডেনে বল হাতে অনুষ্কা, ব্য়াট ধরবেন কি বিরাট
মৎস্য উৎসবে বাহারি মাছের বিভিন্ন সুস্বাদু পদ নলবনে ভেড়ির পাড়ে বসে খাওয়াও যাবে। তারই সঙ্গে মৎস্যজীবীদের মাছ চাষের বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য মেলার প্রাঙ্গনে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞরা মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে মৎস্যজীবীদের শেখাবেন। এছাড়াও এই মৎস্য উৎসবে মাছেদের রোগ, খাদ্য ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বেশ কয়েকটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে ৷ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছোট এবং প্রায় বিলুপ্ত মাছকে আবারও বাঙালির পাতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে মৎস্য দফতর। এছাড়াও রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের একটি নতুন অ্যাপেরও উদ্বোধন করা হয়৷
আরও পড়ুন, জাঁকিয়ে ঠান্ডা কলকাতায়, তাপমাত্রা একলাফে নামল ২ ডিগ্রি
মন্ত্রী চন্ত্র নাথ সিনহা বলেন, মৎস্য চাষে বাংলা কতটা এগোতে পেরেছে তার জন্যই এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যারা ভালো মৎস্য চাষি তাদের এই মেলা থেকে পুরস্কৃত করা হবে। এই মেলার মূল উদ্দেশ্য, অন্যান্য চাষের থেকে মাছ চাষে যে লাভ তা তুলে ধরি চাষিদের সামনে। মাছ চাষের টেকনিক্যাল বিষয়ে জানানো হয় চাষিদের। মাছ চাষিদের আনন্দ দিতে এবার বাইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে রান্না প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। পুরস্কৃতও করা হবে। মৎস্য দফতরের আপ এর মাধ্যমে রকমারি মাছের অর্ডার দিতে পারবেন। কাঁচা মাছও অর্ডার দিতে পারবেন ।