সংক্ষিপ্ত
- ইকোপার্ক থানার হাতে গ্রেফতার 'ভুয়ো চিকিৎসক'
- ইকোপার্কের নার্সিংহোমে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক
- সম্প্রতি ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে
- হাসপাতালে পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ
ইকোপার্ক থানার হাতে গ্রেফতার 'ভুয়ো চিকিৎসক'। নাম বজরুল রহমান মোল্লা।ইকোপার্ক থানা এলাকায় আরিয়ান নার্সিংহোমের চিকিৎসক ছিলেন অভিযুক্ত। সম্প্রতি ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ।হাসপাতালে পরিবারের লোকদের মারধর করা হয় বল অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে চিকিৎসক বজরুল রহমান মোল্লাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ব্রেন টিউমার নিয়ে ইকোপার্ক থানা এলাকার আরিয়ান নার্সিংহোমে ভর্তি হন ন'পাড়া দেশবন্ধু রোড বারাসতের বাসিন্দা নিখিল চন্দ্র রায়। কিছুদিন পরেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পরিবারের লোক ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে বিক্ষোভ ,ভাঙচুর চালাায় নার্সিংহোমে। অভিযোগ ওঠে ডাক্তার পরিবারের লোকদের মারধর করেছে।মৃত ব্যক্তির ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ডাক্তারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর,কোর্ট থেকে তার করোনা হয়েছে বলে আগাম জামিন নিয়ে নেয় ওই চিকিৎসক।পুলিশ পরে জানতে পারে করোনা রিপোর্ট ভুয়ো।এরপর গতকাল মৃত নিখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে দীপঙ্কর রায় ইকোপার্ক থানায় ডাক্তার ভুয়ো বলে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে কল্যাণী থেকে অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করে। পরে ডাক্তার ছাড়াও হাসপাতাল থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সেই নথি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি ডাক্তার।পুলিশের অনুমান এই নথি ভুয়ো । মঙ্গলবার অভিযুক্ত ভুয়ো ডাক্তারকে বারাসত কোর্টে তোলা হবে। তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য় আবেদন জানাবে পুলিশ। তার থেকে উদ্ধার হওয়া নথি ও ডাক্তারির সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে।