সংক্ষিপ্ত
- দক্ষিণেশ্বরের বিষাক্ত গঙ্গাস্নানে জটিল রোগের হাতছানি
- দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে ভয়াবহ রিপোর্ট উঠে এসেছে
- এখানের ঘাটে প্রায় প্রতিদিনই ৫০ হাজার মানুষ পূণ্য়স্নান করেন
- অক্সিজেনের মাত্রা এত কম যে মাছও বেঁচে থাকতে পারবে না
দক্ষিণেশ্বরের বিষাক্ত গঙ্গাস্নানে জটিল রোগের হাতছানি। পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমন ভয়াবহ রিপোর্ট উঠে এসেছে। তবে শুধু গঙ্গা নদী নয়, মোট ১৭টি নদীর জল স্নানের অযোগ্য়। এদিকে এই নদীকে কেন্দ্র করেই লক্ষাধিক মানুষ প্রায় সারা বছরই স্নান করেন, দৈনন্দিন জীবনের আনুষাঙ্গিক সমস্ত কিছু প্রয়োজনও মেটান সেই নদীর জলকে কেন্দ্র করেই।
আরও পড়ুন, শীতের পর বসন্তেও জারি আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, কলকাতা সহ রাজ্যে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা
সূত্রের খবর, ওই ১৭টি নদীর মধ্য়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দক্ষিণেশ্বর সংলগ্ন গঙ্গার জলের। এখানের ঘাটে প্রায় প্রতিদিনই ৫০ হাজার মানুষ পূণ্য়স্নান করেন। নদীর প্রায় ৪৪টি জায়গা থেকে জল তুলে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতেই ভয়াবহ রিপোর্ট ধরা পড়েছে। গঙ্গার ওই জলে বায়োকেমিক্য়ালের মাত্রা স্বাভাবিক সীমার অনেক নিচে। যার দরুণ অক্সিজেনের মাত্রা এত কম যে মাছও বেঁচে থাকতে পারবে না। আর অপরদিকে এথেকে ভয়াবহ রোগের হাতছানিও রয়েছে আমজনতার।
আরও পড়ুন, কালীঘাটে মায়ের গলায় পদ্মের মালা, মন্দিরে নিজ হাতেই পুজো সারেন অমিত শাহ
সূত্রের খবর, গঙ্গার জল ১৪ টি জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে। উত্তর ও হিমালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫টি নদীর জল, পশ্চিম থেকে ১৯টি এবং দামোদরের ১০টি জায়গা থেকে জল পরীক্ষা করা হয়েছে। পিসিবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় প্রতিটি জায়গার জলই স্নানের অযোগ্য় বলে দাবী করা হয়েছে। নদীগুলি মৃতপ্রায়। পর্ষদের চেয়ারম্য়ান নদীগুলির ভয়াবহ দূষণের কথা মেনে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন, নাম বদলাচ্ছে 'মাদার ডেয়ারি', মিশে যাচ্ছে 'বাংলার ডেয়ারি'-র সঙ্গে