সংক্ষিপ্ত

মৃত ওই প্রোমোটারের নাম সুশান্ত মুখোপাধ্যায়। বয়স বছর ৫০। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার রিজেন্ট কলোনির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বহু দিন ধরেই তিনি প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করছিলেন। বেশ নাম ডাকও ছিল তাঁর। 

কলকাতায় মৃত্যু হল প্রোমোটারের। ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে রবিবাসরীয় সকালে এই মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। অবশ্য মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই প্রোমোটারের নাম সুশান্ত মুখোপাধ্যায়। বয়স বছর ৫০। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার রিজেন্ট কলোনির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বহু দিন ধরেই তিনি প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করছিলেন। বেশ নাম ডাকও ছিল তাঁর। কলকাতার একাধিক জায়গায় তাঁর কাজ চলছিল। কিন্তু, সম্প্রতি ব্যবসায় কিছুটা হলেও মন্দা চলছিল। বাজারে তাঁর অনেক ধার দেনা বেড়ে গিয়েছিল। প্রায় গলা পর্যন্ত দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। তার জেরেই তৈরি হয়েছিল মানসিক অবসাদ। কীভাবে টাকা ফেরত দেবেন না ভেবেই পাচ্ছিলেন না তিনি। এমনকী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে আর তেমন কথাও বলছিলেন না। কিছুটা যেন চুপ করে গিয়েছিলেন। এরপরই আজ সকালে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন সুশান্ত মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- বারুইপুরে গণপিটুনি - চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন কলকাতার তরুণ প্রোমোটার, জিজ্ঞাসাবাদ বান্ধবীকে

এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে যায় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। ঘর থেকে দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দেনার দায়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রোমোটার। অবশ্য এর পিছনে অন্য কারণও ছিল বলে অনুমান পুলিশের। কারণ স্ত্রীর সঙ্গে একেবারেই তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না। তাঁদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই ছিল। ফলে অন্য কোনও সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেও সুশান্ত আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের। আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরই কীভাবে ওই প্রোমোটারের মৃত্যু হয়েছে সেই সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।  

আরও পড়ুন- বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপিতে গণইস্তফা, তথাগত-অনুপমের কথাই কি সত্যি হল এবার

তবে কী কারণে সুশান্ত আত্মঘাতী হয়েছেন? সত্যিই তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিনা সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রতিবেশীদের পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। এমনকী, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর কল রেকর্ডও। 

আরও পড়ুন, বাবুলের শপথ ইস্যুতে ফের বিতর্কে রাজ্যপাল, স্পিকারকে পাশ কাটিয়ে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব

উল্লেখ্য, এর আগে বারুইপুরে চোর সন্দেহে ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল কলকাতার এক প্রোমোটারকে। এক বান্ধবীকে নিয়ে, গভীর রাতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন নেতাজিনগরের ওই প্রোমোটার, এমনটাই জানা গিয়েছে। তাঁর পরিবার গণপিটুনির ঘটনা মানতে পারছে না। তাঁদের সন্দেহ, এটা পরিকল্পিত হত্যা। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নামে।