সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আক্রান্ত ছেলের দায়িত্বানহীনতার ফল
  • বাবা-মার সঙ্গে ভুগতে হচ্ছে বাড়ির পরিচারিকাকে
  •  তার স্বামী,সন্তানকেও আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে
  • সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতলে ভর্তি তিনজন

বাবা-মা  তো বটেই করোনা আক্রান্ত ছেলের দায়িত্বানহীনতার ফল ভুগতে হচ্ছে বাড়ির পরিচারিকাকে। জানা গিয়েছে, লন্ডন ফেরত বালিগঞ্জের যুবকের সংস্পর্শে এসে পরিবারের সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পরিচারিকাও। এখন নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার স্বামীকেও আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। 

এবার করোনা একই পরিবারে তিনজনের, রাজ্য়ে সংখ্য়া বেড়ে ৭

সূত্রের খবর, ওই পরিচারিকার বাড়ি রাজপুর-সোনারপুর এলাকায়। বালিগঞ্জের পন্ডিতিয়া রোডে কাজের কারণে রোজ যাতায়াত করতেন তিনি। এখন পরিচারিকা ও তার স্বামীকে ভর্তি করা হয়েছে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সুভাষগ্রামের এই হাসপাতালে এখন আইসোলেশনে রয়েছে পরিচারিকার পরিবার। 

আতঙ্ক ছড়ানো নয়, জেনে নিন লকডাইন চলাকালিন কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়

কদিন  আগেই বারুইপুর-সোনারপুর এলাকার করোনা আক্রান্তদের জন্য় আলাদা ওয়ার্ডের ব্য়বস্তা করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত ১৪ দিনের কোয়রেন্টিনে রয়েছে পরিচারিকার পরিবার। রবিবার করোনা পাওয়া গিয়েছে একই পরিবারের তিন জনের শরীরে। ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭। 

সোমবার থেকে কলকাতায় লকডাউন, কেন্দ্রের সুপারিশ মানবে রাজ্যে.

কদিন আগেই ইংল্যান্ড ফেরত বালিগঞ্জের যুবকের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। তাঁকে দ্রুত বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়৷ সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের লোকেদেরও রাখা হয়আইসোলেশনে৷  সেই সময় চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছিলেন কলকাতার দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত। যার খেসারত দিতে হচ্ছে তাঁর মা-বাবা এবং পরিচারিকাকে। এদিন তাঁদের শরীরেও মিলল COVID-19 ভাইরাস। 

জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে শহরে ফেরেন বালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের ওই তরুণ। তাঁর বন্ধুরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত জানা সত্ত্বেও আবাসন ছাড়াও পরিবারের সঙ্গে মিশে যান তিনি। বিমানবন্দরে থার্মাল পরীক্ষার পর বেলেঘাটা আইডিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানেননি তিনি। উল্টে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে অভিযোগ। যার ফলে তার  জন্য় ভুগতে হচ্ছে তাঁর পরিবার ছাড়াও সংস্পর্শে আসা ব্য়ক্তিদের। আপাতত বেলেঘাটা আইডি-র আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি ওই যুবকের মা-বাবা।