সংক্ষিপ্ত
রবিবার রাত পেরিয়ে সোমবারেও ভারী বর্ষণ চলবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উপকুলে ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে হওয়া বইবে।
রবিবার রাত পেরিয়ে সোমবারেও ভারী বর্ষণ (Heavy Rain ) চলবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। হাওয়া অফিস (Weather Office) জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে হওয়া বইবে। তবে পারদ পতন এখনই তেমন নয়। ১১ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে।
আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে। এটি আগামী ৩ ঘণ্টার শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ রূপে থাকবে। উড়িষ্যায় উপকূল ধরে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এগোবে। রাতে আরও শক্তি হারাবে । ৫ ডিসেম্বর দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। কাল শুধু দুই মেদিনীপুর ও বাংলাদেশের লাগোয়া জেলাতে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হবে। ৭ তারিখ থেকে আবহাওয়ায় উন্নতি হবে। পশ্চিমবঙ্গের উপকুলে ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে হওয়া বইবে। মৎস্যজীবিদের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। কলকাতায় আজ থেকে কাল সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে আগামীকাল ধীরে ধীরে উপকূলের হাওয়ার গতি কমবে। ১১ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে।
প্রসঙ্গত, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সারাদিন বৃষ্টি চলবে। মেঘলা হয়ে থাকবে আকাশ। সমুদ্র উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কয়েক পশলা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে। যার জেরে আগাম সতর্ক হয়েছে জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, এই মাত্র পাওয়া খবরে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি সার্ভিস।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিপদের সম্ভাবনা আছে । তাই সর্তক হাওড়া জেলা প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকেই ঝড় না হলে ও বৃষ্টি বেড়েছে। জলমগ্ন হবার আশঙ্কা রয়েছে হাওড়া শহর। মন্ত্রী অরূপ রায় সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে ফেরী ঘাট গুলি পরিদর্শন করেন।তবে রাস্তা ঘাটে মানুষজন কম।বেলা যত বাড়বে আবহাওয়া তত খারাপ হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য শনিবার বিকালে শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে দেখা গিয়েছিল এনডিআরএফ টিম মাইকে প্রচার করছে। মূলত নদীর ধারে যারা বসবাস করেন তারা যেন নদীতে না নামেন মাইকে সতর্ক করছেন।একদিকে অমাবস্যার ভরা কোটাল, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়। আর তার জেরেই ফুঁসছে হলদি নদী। পূর্ব মেদিনীপুরে হলদিয়ায় হলদি নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। প্রশাসনের তরফে সতর্কমূলক প্রচার করা হচ্ছে। তৎপর রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পাশেই রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হেডকোয়ার্টার, তারাও প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য। হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রাম যাওয়ার ফেরি পরিষেবা সচল রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জাওয়াদ এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায়। জল আরো বাড়লে বিপদ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই গতকালের ভারী বর্ষণে ফুলে ফেপে উঠেছে নদীর জল।জাওয়াদ আছড়ে না পড়লেও তার প্রভাব রয়েছে দীঘা উপকূলীয় এলাকায়। সকাল থেকেই মাইকে প্রচার করে সচেতনা বাড়াচ্ছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। সারাদিন প্রবল বর্ষণের খবর পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী সোমবার অবধি সমুদ্রে নামতে নিষেধ মৎসজীবীদের।