সংক্ষিপ্ত

পুরভোটের ইস্যুতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট।  পরবর্তী শুনানি রয়েছে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে।

 

 

পুরভোটের ইস্যুতে (Municipal Election 2022) রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পৌর নির্বাচন। এদিকে এই  পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোট সম্ভব, তাই পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক এনিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন পুরভোট পিছোতে চায় না বলেই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু  ২২ জানুয়ারি আদৌ শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে পৌর নির্বাচন সম্ভব কিনা এই নিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরবর্তী শুনানি রয়েছে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে।

 

 

এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করে জানিয়েছেন, শুধু বিধাননগরেই ২৩ টি কনটেন্টমেন্ট জোন রয়েছে। কমিশনের উচিত এগিয়ে এসে ভোট বন্ধ করা। এদিন আদালতে আইনজীবী জানান, এই পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার ঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোটাররা বাইরেই আসতে পারছেন না। তাহলে কীকরে ভোট দেবেন। তাঁর প্রশ্ন এই পরিস্থিতিতে ভোট করা কি একান্তই জরুরী প্রশ্ন করা হয়। এদিন মামলাকারীর আইনজীরবীর ওই বক্তব্য রাখার পর রাজ্য নির্বাচনে কমিশনের তরফে রাজ্যের সামগ্রিক খারাপ পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়।প্রসঙ্গত, রাজ্য়ে এই মুহূর্তে লাগামছাড়া কোভিড সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪২১ জন। এই সংখ্যার সংখ্যা গরিষ্ঠ আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে ৩ জেলা মূলত উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি জেলা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। তুলনায় কম দার্জিলিং -জলপাইগুড়িতে। এদিকে এই জেলাগুলিতেই ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পৌর নির্বাচন। এহেন পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোট সম্ভব, তাই পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক এনিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। 

তবে  এদিন পুর ভোটের ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন, 'লোকাল ট্রেন স্টেশন রেল স্টেশন হাটে বাজারে মানুষ ভিড় করছে। এই পরিস্থিতিতে (Covid Situation)আমরা সমস্তটাই কোভিড বিধি মেনে পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ২২ তারিখ নির্বাচন করা হবে।' যদিও  ২২ জানুয়ারি আদৌ শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে পৌর নির্বাচন সম্ভব কিনা এই নিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১১ জানুয়ারী।