সংক্ষিপ্ত
আজ শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ছ'টি প্রশ্নে ভুল ছিল। যে পরীক্ষার্থীরা সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নম্বর দেয়নি পর্ষদ।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ছ'টি প্রশ্ন ভুল ছিল। আর কেউ যদি ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ওঠে, আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরই আদালত অবমাননার দায়ে এই পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করল হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, নিজের আয় থেকে পর্ষদ সভাপতিকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। সেই হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে পাবেন মোট ১৯ জন মামলাকারী।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেট-র ভিত্তিতে ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। এরপরই ১৯ জন চাকরিপ্রার্থী এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদন ছিল, ২০১৪ সালের প্রশ্নপত্রে ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তা সত্ত্বেও যাঁরা সেগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। আদালত ওই মামলার ভিত্তিতে নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা ওই ছয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তাঁদের যেন নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও তা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে আজ শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ছ'টি প্রশ্নে ভুল ছিল। যে পরীক্ষার্থীরা সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নম্বর দেয়নি পর্ষদ। তার জেরে হেনস্থার শিকার হয়েছেন প্রার্থীরা। সেজন্য পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- 'করোনায় বাবা-মায়ের মৃত্যু হলে তবেই মুকুব কলেজ ফি', বেহালা কলেজে বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রীদের
আরও পড়ুন- পারিবারিক অশান্তির জের, একরত্তিকে খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে 'শাস্তি' দিলেন মা
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি তা বোর্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ না মানাকে আদালত অবমাননার সামিল বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনা মামলাকারীদের হেনস্তা করার সমান বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি। তারপরই মামলাকারীদের হেনস্থা ও আদালত অবমাননার জন্য পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রত্যেক মামলাকারীদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।