সংক্ষিপ্ত
- কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
- সভা করলেন শহিদ মিনার চত্বরে
- সিএএ-র পক্ষে জোরদার সওয়াল করলেন তিনি
- অমিতের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
'কোনও বাধা না মেনে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে মোদী সরকার। যতই বিরোধিতা করুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের রুখতে পারবেন না।' শহিদ মিনারের জনসভা থেকে সিএএ ইস্যুতে হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, 'কোনও স্বার্থে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন? মতুয়ারা আপনার কী ক্ষতি করেছে?'
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। হিংসার আগুনে জ্বলছে রাজধানী দিল্লি। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত পুলিশকর্মী-সহ প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। কিন্তু হলে কী হবে! নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টে দিন কয়েক আগে যাবতীয় অশান্তির দায় কৌশলে বিরোধীদের উপরই চাপিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই ধারায় বজায় থাকল তাঁর কলকাতায় জনসভাতেও।
আরও পড়ুন: দিদিকে বলো-তে ফোন করার ডাক, মঞ্চ থেকে এ কী বললেন অমিত শাহ
এ রাজ্যে প্রথম থেকেই সিএএ বিরোধিতা করছেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা তো বটেই, জঙ্গলমহল, এমনকী শিলিগুড়িতে মিছিলেও হেঁটেছেন তিনি। দলনেত্রীর নির্দেশে রাজ্যের সর্বত্রই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। বসে নেই রাজ্যে বিজেপি নেতারাও। সিএএ-র সমর্থনে পাল্টা 'অভিনন্দন যাত্রা' কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়াশিবির। আর এবার পুরভোটের আগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে কলকাতা সভা করলেন দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার শহিদ মিনার চত্বরে জনসভায় তিনি বলেন,'নেওয়া নয়, সিএএ দেওয়ার আইন। সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল। সত্তর বছর ধরে যাঁরা প্রতারিত, নিজের দেশের পরবাসীর মতো থাকছেন, সেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে মোদী সরকার।'
আরও পড়ুন: কলকাতার বুকেও 'গোলি মারো', বিতর্কিত স্লোগানে কাঁপল ধর্মতলা
এদিন অমিত শাহের সভাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলা চত্বর। শহিদ মিনারের দিকে যাওয়ার পথে ডোরিনা ক্রসিং-রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয় আটকানোর চেষ্টা করেন সিএএ বিরোধীরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে বেঁধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিয়ে পুলিশ রীতিমত হিমশিম খায়।