সংক্ষিপ্ত

  • বিশেষ সমাবর্তন স্থগিত করার পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় 
  • শনিবার এ জন্য কর্মসমিতির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে 
  •  পড়ুয়াদের পদক পরে দেওয়া হবে বা পাঠিয়ে দেওয়া হবে 
  • অবশ্য় বিশেষ সমাবর্তন স্থগিত হলেও বার্ষিক সমাবর্তন হবে 


বিশেষ সমাবর্তন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।  মূলত সমাবর্তনের যে অংশে আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের থাকার কথা, সেই অংশটিই  অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হতে চলেছে।  সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে রাজ্যপালের আসাকে কেন্দ্র করে অশান্তি এড়াতেই কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। সমাবর্তনের দিন ক্যাম্পাসে রাজ্যপাল এলে তাঁকে বয়কট এবং কালো পতাকা দেখানো হবে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে পড়ুয়ারা।  আজ, শনিবার এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য কর্মসমিতির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, বউবাজারে কি ফের শুরু হবে মেট্রোর কাজ, হাইকোর্টের অনুমতি চাইল নির্মাণকারী সংস্থা

শুক্রবার এ নিয়ে শিক্ষক, আধিকারিক এবং কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহ–‌উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ, চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। বিশেষ সূত্রে খবর, বৈঠকে ছাত্ররা যে আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছ থেকে পদক নিতে রাজি নয়। তাঁকে  বিক্ষোভ, বয়কটের ডাক দিয়েছে এবং কালো পতাকা দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই প্রসঙ্গটিও তোলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ সমাবর্তনটি স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যপালকেও এই বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষ সমাবর্তন না হলে পড়ুয়াদের পদক পরে দেওয়া হবে বা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে বিশিষ্টজনদের সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়ার কথা ছিল তাঁদেরও জানানো হবে। বিশেষ সমাবর্তন স্থগিত থাকলেও বার্ষিক সমাবর্তন হবে।  

আরও পড়ুন, অশান্তি রোধে কি পদক্ষেপ, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দুটি ভাগ। প্রথম অংশে থাকেন রাজ্যপাল। এই অংশটিকে বিশেষ সমাবর্তন বলা হয়। যেখানে বিশিষ্টজনদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাম্মানিক ডিলিট, ডিএসসি দেওয়া হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পড়ুয়ারা সোনার পদক পান, তাঁদের হাতেও পদক তুলে দেন রাজ্যপাল। এরপর শুরু হয় বার্ষিক সমাবর্তন। যেখানে রাজ্যপালের কোনও ভূমিকা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই ডিগ্রি তুলে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর। চলতি বছরে সমাবর্তনে কবি শঙ্খ ঘোষ ও প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমন হায়দারকে সাম্মানিক ডিলিট এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা সঙ্ঘমিত্রা ব্যানার্জি ও বিজ্ঞানী সিএনআর রাওকে সাম্মানিক ডিএসসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।