সংক্ষিপ্ত
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে নতুন করে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটল তৃণমূল-কংগ্রেসও।
বছর শেষের দোরগোড়ায় এসেও কিছুতেই যেন থামছে না রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত(State-Governor conflict)। বেসরকারি কলেজের অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠককে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়(Governor Jagdeep Dhankar)। এমনকী এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্যের পদে যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(education minister bratya basu)। তাতে আরও রেগে যান রাজ্যপাল। এমতাবস্থায় এবার ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে(Appointment of Vice Chancellor in 24 universities) বেনিয়মের অভিযোগ তুলে নতুন করে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটল তৃণমূল-কংগ্রেসও(Trinamool Congress)।
এদিকে বুধবারই জিটিএ–কে দুর্নীতির আখড়া, মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনের রাজা বলায় তিনি অপমানিত হয়েছেন বলে টুইট বার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। এমতাবস্থায় বৃহঃষ্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলায় ফের নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটারে তাঁর হুঁশিয়ারি, শীঘ্র উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যপালের স্পষ্ট অভিযোগ, তাঁর অনুমোদন ছাড়াই রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এই তালিকায় কলকাতা, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতীর মতো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। এদিকে রাজ্যপালের অভিযোগের খাতায় একযোগে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই চাপে পড়েছে তৃণমূল সরকার। অস্বস্তি বেড়েছে শিক্ষা মহলে।
রাজ্যপালের অভিযোগ, “নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই রাজ্যপালের আদেশ অমান্য করা হয়েছে। আচার্যের অনুমতি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এই নিয়োগের কোনও আইনি অনুমোদন নেই। এই সিদ্ধান্ত শীঘ্রই প্রত্যাহার না করা হলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হব।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর দুদিন রাজ্যের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যকে ডেকে পাঠান আচার্য তথা রাজ্যপাল। কিন্তু, তাঁর আহ্বানে উপাচার্যরা সাড়া দিচ্ছেন না বলে একের পর এক ট্যুইট করে ক্ষোভ উগড়ে দেন জগদীপ ধনকড়। তাঁর সাফ অভিযোগ রাজ্য সরকারের ইউনিয়নবাজির জন্যই ঘটছে এই ঘটনা। তবে এবার সরাসরি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় চাপ বাড়ছে শাসক শিবিরের উপর। তবে তাঁর এই চাঞচল্যকর দাবির পর তাঁকে পালটা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদকে উপহাস করছেন বলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।