সংক্ষিপ্ত

  • থামছে না রাজ্য়-রাজ্য়পাল সংঘাত
  •  রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন
  •   মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ  শানালেন রাজ্য়পাল
  •  সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য়ে পরিণত হয়েছে বাংলা 

থামছে না রাজ্য়-রাজ্য়পাল সংঘাত। ফের রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ  শানালেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। এদিন রাজ্য়পাল বলেন, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য়ে পরিণত হয়েছে বাংলা। 

সারদাকাণ্ডে নতুন চমক, একাই ২৬০ কোটি টাকা জমা দিয়েছিলেন এক জনপ্রতিনিধি

আগেও বহুবার তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি। তবে রাজ্য় সন্ত্রাসের স্বর্গ রাজ্য়ে পরিণত হয়েছে এরকমটা আগে মন্তব্য করেননি তিনি। এবার আর রাখঢাক না করে সরাসরি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়াকেই আক্রমণ করেন রাজ্য়পাল। তিনি বলেন, আমাকে রাজ্যের খুঁটিনাটি জানানো হচ্ছে না কেন? মানুষ যাতে সঠিক তথ্য না পায় সে কারণেই আমায় এড়িয়ে চলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব আমাকে সব জানানোর জন্য। আমি সব বিষয়েই খোঁজ নেব। আমার অনুরোধ উপেক্ষা করা হচ্ছে,  মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের প্রশ্নের উত্তর দেন না। এই ঘটনা কিসের উদারহণ?

ট্রেনে উঠলেই মহিলাদের দেওয়া হবে নম্বর, যাত্রী সুরক্ষায় 'সহেলি' আনল রেল

এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি রাজ্য়পাল। রাজ্য়ের পুলিশ প্রশাসন নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন ধনখড়। তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নিজের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ পুলিস, তাঁরা শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। ডিজিপি-র সম্পর্কে অভিযোগ করতে গিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। এবার তুলে আনলেন সারদাকাণ্ডের কলকাতা পুলিশের কমিশনের জন্য় ধরনায় বসার পুরোনো স্মৃতি। টুইট করে রাজ্য়পাল বলেছেন, আগে রাজ্য়বাসী দেখেছে, কেউ কলকাতা পুলিশকে বাঁচাতে নিজে সশরীরে হাজির হয়েছেন। আর এবার নিজে হাজির না হয়ে পুলিশকর্তাদের বাঁচাতে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রের হাতে তথ্য নেই কেন, মোদী সরকারকে টুইট খোঁচা মমতার

রাজ্য়ের চিটফান্ড তদন্তের অতীত বলছে,তৎকালীন পুলিশ সুপার রাজীব কুমারকে বাঁচাতে নিজে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। অভিযোগ, সারদা তদন্তের লাল ডায়েরি ও হার্ডডিস্কের প্রমাণ নষ্ট করেছেন তৎকালীন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার। যার জন্য় সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এলেই 'গা ঢাকা দেন' তিনি। পরে  রাজীব কুমারকে বাঁচাতে নিজেই ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী।