সংক্ষিপ্ত
আনিস খানের মামলা নিয়ে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে আদালত চত্বর। এমনটা আশঙ্কা করছেন অনেকেই। আর সেই তালিকার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যপালও। আসলে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে যেতে দিতে নারাজ।
কয়েকদিন আগে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত চত্বরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই পক্ষের আইনজীবী। এমনকী, এজলাসের সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করতে না পেরে একের পর এক মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ বলে জানা যায়। এদিকে ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যার ঘটনাতেও পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে আদালতের বাইরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আজই আনিস খান মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে যাবে নাকি সিটের হাতেই থাকবে তা নিয়ে লড়াই জাড়ি রয়েছে। তবে গত সব ঘটনাই আদালতের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তার থেকে কিছুটা হলেও অনুমান করা হচ্ছে যে, এই মামলার তদন্তভারও তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তবে আজ এই মামলার শুনানি হয়নি। এজলাসে বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- 'বাংলাকে রেপ হেভেনে পরিণত করেছে তৃণমূল', আইনজীবীদের হাতহাতি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
এদিকে আনিস খানের মামলা নিয়ে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে আদালত চত্বর। এমনটা আশঙ্কা করছেন অনেকেই। আর সেই তালিকার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যপালও। আসলে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে যেতে দিতে নারাজ। যদিও রাজ্য পুলিশের উপর একেবারেই ভরসা নেই আনিসের পরিবারের। সেই কারণে তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। ফলে এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আবার এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাহলে ফের অশান্তি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন- কুণালকে অশালীন মন্তব্যের জের, মানহানির মামলায় শুভেন্দুকে আদালতে হাজিরা থাকার নির্দেশ
এই বিষয় নিয়ে টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, "গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টে বাইরে হওয়া ঘটনা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেছি। ন্যায় বিচার অস্বীকার করা বা তাতে বাধা দেওয়া আইনের শাসনের বিরোধী। ন্যায়ের মন্দিরের পবিত্রতা সবারই বজায় রাখা উচিত।" উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় নিয়েই অসন্তোষ শুরু দুই পক্ষের মধ্যে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। আর নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে কেন সরব হয়েছেন? এই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ করে বিচারপতির এজলাস বয়কট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের সদস্যরা। এজলাসের বাইরে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এজলাস বয়কট করতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। এমনকী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
আরও পড়ুন, 'বার্নল নিয়ে বসুন ভাই', বিজেপিকে নিয়ে বেফাঁস বলতেই শুভেন্দুকে খোঁচা কুণালের