সংক্ষিপ্ত
- সৌজন্য়ের মাঝে সংঘাতের ইঙ্গিত
- রাজ্যের বুলি আওড়াতে নাও পারেন রাজ্য়পাল
- বাজেট অধিবেশনে স্বাধীন ভাষণ দিতে পারেন তিনি
- এমনই ইঙ্গিত মিলেছে খোদ জগদীপ ধনখড়ের কথায়
সৌজন্য় দেখিয়ে লাভ হল না। এই প্রথম বার রাজ্য় সরকারের বাজেট ভাষণের বুলি নাও আওড়়াতে পারেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন মিলেছে তেমনই ইঙ্গিত।
কেজরিওয়ালের পথ ধরেই কি বিধানসভার বৈতরণী পার হতে চাইছেন মমতা
রবিবারই সংঘাতের মধ্য়েই সৌজন্য়ে দেখাতে রাজভবনে যান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। রাজ্য়পালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে পার্থবাবু বলেন, নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাতের জন্যই এসেছিলেন তিনি। তবে নিয়ম মেনে বাজেট অধিবেশনের বিষয়টাও জানিয়ে গিয়েছেন রাজ্য়পালকে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন৷ নিয়ম অনুসারে সেখানে প্রথমে বক্তব্য় রাখেন রাজ্য়পাল। রাজ্য় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই বিষয়েই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কথা হয়েছে।
কলকাতার ডাক্তার গৃহিনীর কামুকপনায় অতিষ্ঠ স্বামী, বিয়ে বাঁচাতে পায়ে 'ড্রাইভ' স্ত্রী-র
সম্প্রতি শাসক দলের সঙ্গে রাজ্য়পালের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। মূলত, রাজ্য়পালের স্ত্রীর বিষয়েও মন্তব্য় করতে ছাড়েনি তৃণমূলের নেতারা। যা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। উল্টে রাজ্য়পালের মাথা ঠিক নেইয়ের মতো কথা বলেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। অতীতে রাজ্য়ের বিষয়ে মন্ত্রী আমলাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে সাড়া পাননি জগদীপ ধনখড়। আগামী বাজেট ভাষণে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
স্কুল ফাইনালে এবার মাদ্রাসায় বসতে চলেছে ৭০ হাজার হিন্দু পড়ুয়া
কালীঘাটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রাজ্য়পাল বাজেট ভাষণে বিগড়োতে পারেন তা ধরে নিয়েই পার্থবাবুকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একটি সংবাদ মাধ্য়মের বয়ান অনুযায়ী , রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণের কথা বলতেই ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে ধনখড়ের গলায়। এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য় করেন রাজ্য়পাল । তিনি জানান, বাজেটে কী হয় তার জন্য় অপেক্ষা করুন । রাজ্য়পালের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, রাজ্য় সরকারের লিখে দেওয়া বুলি আওড়ানোর পক্ষপাতী নন জগদীপ ধনখড়।
যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল। গতকাল রাজভবন থেকে বেরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে তো প্রতিদিনই রাজভবনে আসতাম, এখন সময় পাই না৷ তবে পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে আমার একটা কর্তব্য আছে৷ আগামী ৭ তারিখ থেকে বাজেট অধিবেশন, সেটা জানানো আমার কর্তব্য৷ সেই বিষয় রাজ্যপালকে বলেছি৷ এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ রাজভবনে ধনখড়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তৃণমূলের মহাসচিব। তবে বাজেট নিয়ে কোনও কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে।