সংক্ষিপ্ত
- সোমবার থেকে পথে নামছে তৃণমূল
- পর পর তিন দিন মিছিলে হাঁটবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল নিয়ে আপত্তি রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়ের
- টুইটারে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল
রবিবার রাতেই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। এবার নয়া আইনের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল করা নিয়েও সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সরাসরি অভিযোগ তুললেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে এই মিছিল উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে। মিছিল করা থেকে বিরত থাকার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
সোমবার থেকে পর পর তিন দিন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ময়দানের অম্বেডকর মূর্তি থেকে শুরু করে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। মঙ্গলবার মিছিল হবে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত। আর বুধবার হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। তিনটি মিছিলেই তৃণমূলনেত্রী নিজে হাঁটবেন।
আরও পড়ুন- প্রশাসনে মন দিন, অশান্তি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ ধনখড়ের
আরও পড়ুন- কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক, শক্ত হাতে অশান্তি দমনের নির্দেশ মমতার
এই মিছিল নিয়েই আপত্তি জানিয়ে এ দিন টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'দেশের আইনের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রীরা মিছিলে নেতৃত্ব দিতে রাস্তায় নামতে চলায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এংন অসাংবিধানিক এবং উস্কানিমূলক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। বরং কীভাবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়, এই সময় তার জন্য সময় বরাদ্দ করা উচিত।'
রবিবার রাতেও মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। কড়া হাতে অশান্তি পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ এবং শাসক দলের নেতাদের নিয়েও নিজের অসন্তোষ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে যে কোনও সাহায্য করার জন্য তিনি তৈরি বলেও জানান রাজ্যপাল।
পর পর তিন দিন শহরের ব্যস্ত অংশ দিয়ে তৃণমূলের মিছিলে অবশ্য ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনিতেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে অবরোধ, গন্ডগোলের জেরে রাস্তায় বেরিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এবার কলকাতা এবং হাওড়ায় পর পর তিন দিন শাসক দলের মিছিলে সেই হয়রানি আরও বাড়ার আশঙ্কা।