সংক্ষিপ্ত
কৈখালি বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার মালিকের জামাই। বিমানবন্দর থানা সূত্রে খবর, পবনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
কৈখালি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Kaikhali Blust) গ্রেফতার মালিকের জামাই। উল্লেখ্য, নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে কৈখালির রঙের কারখানায় (Fire in Chemical Factory) । সেই আগুনে একজন প্রাণও হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দমকলআধিকারিকরা। আর তারপর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই কৈখালি বিস্ফোরণকাণ্ডে মালিকের জামাই পবন আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পবনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানা সূত্রে খবর, কৈখালি বিস্ফোরণকাণ্ডে মালিকের জামাই পবন আগরওয়ালকে রবিবারই আদালতে পেশ করা হচ্ছে। ধৃতের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা, অস্বাভাবিখ-মৃত্য়ু মামলা সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিন আদালতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য নিজে হেফাজতে রাখার আবেদন করতে পারে পুলিশ। পাশাপাশি দনকলের তরফেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দমকল সূত্রে খবর, ওই কারখানায় বিস্ফোরক মজুত ছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সেখানে ছিল না। যার দরুন আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা কীকরে ওই কারখানা গড়ে উঠেছিল, এনিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কার অনুমতি নিয়ে এই কারখানা চালানো হচ্ছিল এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রঙের ওই কারখানায় ৭ -৮ জন কাজ করতেন। তাঁদের মধ্য়ে একজনের খোঁজ মেলেনি। এলাকার এক যুবক জানিয়েছেন, 'উনি বয়স্ক লোক ছিলেন। নিরপত্তারক্ষীর কাজ করতেন এখানে। মনে হয় উনি বেরোতে পারেননি।'
শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ কৈখালির চিরিয়ামোরের একটি রঙের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি ছিল থাকায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। আরও একটি ইঞ্জিন পরে নিয়ে আসা হয় ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় এনডিআরএফের সদস্যরাও। রঙের কারখানায় অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী রঙের কারখানা থেকে ওই আগুন আশপাশের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। অনেক চেষ্টার পরও আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ যেহেতু কেমিক্যালের কারখানা তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে দমকলের বেশ সমস্যা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, ওই কারখানার পাশেই রয়েছে বাচ্চাদের পোশাক তৈরির কারখানা। এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সিও সেখানে যান। চার ঘন্টা পর অবশেষে ৭২ টি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।