সংক্ষিপ্ত
- একবার এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হল কলকাতায়।
- বেনজির নৃশসংতার পরিচয় দিল প্রাণের শহর।
- জানুন মৃত ব্যক্তির আসল পরিচয়।
চোর সন্দেহে আবারও একবার এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হল কলকাতায়। বুধবার সকালে এক ব্যাক্তিকে মানিকতলার হরিষা হাট থেকে কালচারাল অ্যাসোসিয়েশান ক্লাবে তুলে আনা হয়। তার পরে তাঁকে এলোপাথাড়ি পেটায় ক্লাবের ছেলেরা। বাঁশ, লাঠি, উইকেট দিয়ে পিটিয়ে ওই ব্যক্তিকে ক্লাবের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে পালায় অভিযুক্তরা। ওই ব্যাক্তিকে স্থানীয় কিছু মানুষ তালা ভেঙে উদ্ধার করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে সেখানকার চিকিৎসকেরা।
তথ্য বলছে বিনা প্রমাণে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল যাঁকে, সেই ব্যক্তি হুগলির বাসিন্দা। মৃতের বাড়ি হুগলির আদি সপ্তগ্রাম এর রায় পাড়ায়। মগরা থানার রায় পাড়ায় প্রায় দুই দশক ধরে রয়েছেন কাপড় ব্যবসায়ী রতন কর্মকার(৫০)। প্রথম দিকে এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকলেও দেড় দশক আগে তিনি ওই এলাকাতেই জায়গা কিনে টালির চালের বাড়ি করেন। রতন বাবুর দুই মেয়ে। দুই জনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। বড় মেয়ে দিল্লিতে থাকেন। ছোট মেয়ে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকেন। গতকাল সন্ধ্যায় টিভি দেখে তিনি জানতে পারেন বাবার সঙ্গে কী ঘটেছে। আজ ভোরেই রতনবাবুর ছোট মেয়ে ও জামাই মানিকতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেন। এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে রতনবাবুর। স্থানীয় বাসিন্দারা রতনবাবুকে পিটিয়ে মারা হয়েছে তা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। হতভম্ভ গোটা গ্রাম।