সংক্ষিপ্ত

  •  কাটছে না সংক্রমণের আশঙ্কা
  •  আরও বাড়ল কনটেনমেন্ট জোন
  •  সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে কলকাতার সংখ্যা
  • কোথায় কোথায় কলকাতার কনটেনমেন্ট জোন 

দ্বিতীয় দফা লকডাউন কেটে যাওয়ার পরও কাটছে না সংক্রমণের আশঙ্কা। মহানগরে কমার বদলে আরও বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলির তালিকা। যে সব অঞ্চলে সংক্রমণ বেশিমাত্রায় ছড়িয়েছে তা নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য় দফতর।

বাংলা ওপরে সবুজ-ভিতরে লাল, করোনা নিয়ে এবার মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি দিলীপ ঘোষের..

আগে কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ২৬৪, সেখান থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১২৷ এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ৮১, হাওড়াতে ৭৪, হুগলিতে ১৮, নদিয়া ২, পূর্ব মেদিনীপুর ৯, পশ্চিম মেদিনীপুর ৫, পূর্ব বর্ধমান ১, মালদা ৩, দার্জিলিং ২, কালিম্পঙ ১, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১ ৷ অন্যদিকে ৯ টি জেলায় কোনও কন্টেনমেন্ট জোন নেই৷ সোমবার মুখ্যসচিব নবান্ন থেকে জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৬১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ আর মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের৷

West Bengal government has identified 312 containment areas in Kolkata to prevent #COVID19 transmission; 61 new positive cases reported in West Bengal on 4th May, taking the total number of cases in the state to 1259. pic.twitter.com/Z7N4nBIIO5

— ANI (@ANI) May 4, 2020
 
রাজ্য়ে  সব মিলিয়ে ৫০০ পেরিয়ে গেল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। ফলে করোনার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল রাজ্য়ের। গত চার দিনে রাজ্য়ে কন্টেইনমেন্ট জোন বেড়েছে ৭২টি। আগে রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল  ৪৪৪টি। সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়সচিব জানান,সোমবার পর্যন্ত বাংলায় কন্টেইনমেন্ট জোন ৫১৬টি। তবে হুগলিতে নতুন এলাকা থেকে সংক্রামিতর হদিশ মিলেছে। উদ্বেগ বাড়িয়েছে চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকা। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় দুটি-একটি করে কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে।

ভ্য়াপসা গরমে ভিজছে জামা,বিকেলে দেখা মিলতে পারে বৃষ্টির.

এদিকে রাজ্য়ে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। আক্রান্ত একধাক্কায় বেড়ে  ১২৫৯। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৭.৩২ শতাংশ মানুষ করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।  এখনও পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ২৫ হাজার ১১৬।  করোনা আক্রান্ত ৯০৮ জন রোগী এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তা ছাড়া গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, গত চব্বিশ ঘন্টায় কোভিড আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের।রাজ্য় যখন ইতিবাচক খবর শোনাচ্ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে রিপোর্ট দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। সোমবার রাজ্য়  ছাড়ার আগে মুখ্য়সচিবকে চিঠি  দিয়েছেন তারা।

করোনা সংক্রমণের জের, এবার বন্ধ পিয়ারলেস হাসপাতাল..

যেখানে বলা হয়েছে, রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের হারে দেশকে ছাপিয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট বলছে,রাজ্য়ে এখন কোভিডে মৃতের হার ১২.৮শতাংশ, যা দেশের মধ্য়ে সবথেকে বেশি। রাজ্য় ছাড়ার আগে মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহাকে পাঠানো চিঠিতে এই কথা জানিয়ে গিয়েছে সেন্ট্রাল টিমের সদস্যরা। পাশাপাশি রাজ্য়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় দলকে  অসহযোগিতার  অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে।