সংক্ষিপ্ত
- এক বছরের অপেক্ষা শেষ করে আবার মা আসছে
- দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে মায়ের প্রতিমা তৈরি
- প্রায় দুশো বছরের পুরনো এই পুজো
- সেখানে আজও পুরনো রীতি মেনেই পুজো হয়
বছর ঘুড়ে মা আসছেন ফিরে আর সেই অনন্দেই মেতে উঠেছে গোটা বংলা। সব জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে তারই প্রস্তুতি। এখন সব জায়গাতেই প্রায় থিম পুজোর আধিক্য। সাধারণ মানুষের থিম পুজোর প্রতি আগ্রহই এর আধিক্য বৃদ্ধি করেছে। থিম পুজোর পাশাপাশি পিছিয়ে নেই বাড়ির পুজো গুলোও। বহুদিন আগে থেকে শুরু হলেও আজও থিম পুজো মানিষের নজর কারে। আর কলকাতাতেও অসংখ্য বাড়ির পুজো হয় যা সকলের নজর কাড়ে। এমনই একটি পুজো হয় কলকাতার দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়িতে। সেখানে দুশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পুজো হচ্ছে। এমনকি আজও সেখানকার রীতিনীতি মানুষের নজর কাড়ে।
আরও পড়ুন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
প্রায় দুশো বারো বছর আগে ১৮০৭ সালে দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়িতে পুজো শুরু হয়। রাজ কৃষ্ণ মিত্রর নামেই এই পুজো জনপ্রিয়তা পেলেও এই পুজো শুরু করেন তার পুত্র রাধা কৃষ্ণ মিত্র। সেই সময় তিনি তার ব্যবসায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তার পর থেকেই তিনি এই পুজো শুরু করেন।
আরও পড়ুন- আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা, নতুন পরিকল্পনায় দমদম পার্ক ভারতচক্র
আজও সেখানে বংশ পরম্পরায় এই পুজো চলছে। সেখানকার প্রতিমার একটা বিশেষত্ব আছে। সেখানকার ত্রেচালায় একটা মাটির কাজ দেখতে পাওয়া যায়। এই কাজটিকে মঠ চৌড়ির কাজ বলে। সেখানকার মা সজ্জিত হন বাড়ির ছোটদের হাতেই। এমনকি মায়ের সাজ সজ্জা সব বানিয়ে থাকেন বাড়ির সদস্যরাই। কথিত আছে এখানে নাকি ১০৮ টি পদ্মের বদলে ১০৮ টি অপরাজিতা। এছাড়াও সেখানে মায়ের ভাসানের আগে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হত এছাড়াও পুজো শুরুর আগে কামান দাগা হত। আজ সেই সব রীতি মানা সম্ভব না হলেও সেখানে আজও মহা সমারহে পুজো হয়।