সংক্ষিপ্ত
- দ্রুত জমা জল সরার আশ্বাস মেয়রের
- রাস্তায় বেরিয়ে তদারকিতে ফিরহাদ হাকিম
- ঘুরে দেখলেন পুরসভার পাম্পিং স্টেশন
- মুম্বই, চেন্নাই থেকে কলকাতাকে এগিয়ে রাখলেন মেয়র
কলকাতা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জমে রয়েছে জল। জমে থাকা জল নামিয়ে দিতে নিজেই তদারকিতে নামলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর আশ্বস, আর ভারী বৃষ্টি না হলে বিকেলের মধ্যেই কলকাতায় জমে থাকা জল নেমে যাবে। তবে বেহালার কয়েকটি নিচু এলাকার মতো কয়েকটি জায়গায় জল নামতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান মেয়র।
এ দিন সকাল থেকেই বালিগঞ্জ, মোমিনপুর- সহ কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে বের হন মেয়র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদও। এর পাশাপাশি পুরসভার জল নিকাশি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও কথা বলেন মেয়র। তিনি বলেন, পাম্পিং স্টেশনগুলি থেকে খালে যে জল ফেলা হয়, জোয়ার থাকার কারণে তা গঙ্গায় ফেলা যাচ্ছে না। জোয়ার চলে যাওয়ার পরে ভাঁটায় গঙ্গার জলস্তর কমলেই লকগেট খুলে জল বের করে দেওয়া হবে। ফলে ভারী বৃষ্টি না হলে বিকেল বা রাতের মধ্যেই কলকাতার জলমগ্ন রাস্তাগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন মেয়র।
আরও পড়ুন- দুর্যোগে ভরসা দিচ্ছে রেল, স্বাভাবিক হাওড়া- শিয়ালদহ, তবে আশঙ্কা থাকছেই
আরও পড়ুন- দেরিতে দিল্লির বিমান, অ্যাপ্রোন এরিয়ায় জল, ভোগান্তি যাত্রীদের
তিনি অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন, বেহালা, বাইপাস সংলগ্ন কয়েকটি নিচু এলাকার জল নামতে কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগবে। বেহালা এলাকায় জলনিকাশির কাজ চলাতেই আরও সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
যদিও ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, এর পরেও মুম্বই বা চেন্নাইয়ের তুলনায় কলকাতার জল নিকাশি ব্যবস্থা অনেক ভাল। সেই কারণেই অল্প সময়ের ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হলেও কলকাতা একেবারে অচল হয়ে পড়েনি।
মেয়র বলেন, 'ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছে ঠিকই। প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো আমাদের হাতে নেই। কিন্তু এটা অন্যান্য শহরের মতো নয়। সব অফিসারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তদারকি করছেন যাতে দ্রুত জল নেমে যায়।'