সংক্ষিপ্ত
- সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন
- লকডাউন লঙ্ঘন করায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন
- বুধবার কলকাতায় গ্রেফতারের সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে
- বেশি গ্রেফতার হয়েছে কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগে
সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। লকডাউনের আইন ভেঙে নিজের হাতে নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা আগেই দিয়েছিল রাজ্য় সরকার। এরপর লকডাউন লঙ্ঘন করায় গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক হাজারের বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার সূত্রে খবর, শহরে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ১৩০২।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় ৫০ লক্ষ খরচের প্রস্তাব, একাই জেলাশাসকের দপ্তরে হাজির বিজেপি সাংসদ
সোমবার বিকেল থেকেই রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। প্রথমে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হলেও, পরে তা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও লকডাউন লঙ্ঘন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ঘোষণা করেন। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। এত কিছুর পরেও সাধারণ মানুষ লকডাউন ভেঙেছিলেন। যার জেরেই আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেফতর করল পুলিশ।
আরও পড়ুন, করোনার আশঙ্কায় আগাম বন্দোবস্ত, বিয়েবাড়ি,স্টেডিয়াম নেওয়ার নির্দেশ মমতার
প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে সারা দেশে। ২১ দিনের জন্য এই লকডাউন জারি থাকবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, '২১ দিন নিজেদের সামলে রাখতে না পারলে, ২১ বছর ধরে ভুগতে হবে।'অপরদিকে লকডাউনের আইন লঙ্ঘনে কলকাতা পুলিশের ৯টি ডিভিশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে দক্ষিণ বিভাগে। এখানে গ্রেফতারের সংখ্যা ২৭১ জন ।তার পরের স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ডিভিশন। আর সবচেয়ে কম পূর্ব ডিভিশনে। এখানে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র ৮ জন। উল্লেখ্য় করোনায় আক্রান্ত ক্রমশই বাড়ছে ভারতে। ইতিমধ্য়েই আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ পেরিয়েছে। এখন দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৯। মৃত্যু হয়েছে মোট ১০ জনের। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কেরালা ও মহারাষ্ট্রে।
আরও পড়ুন, বৈঠক থেকে বেরিয়েই শহরের হাসপাতালগুলোতে মমতা, পৌঁচ্ছলেন আরজিকর-মেডিকেল-এনআরএস-এ