সংক্ষিপ্ত
- করোনার কোপে এক পর এক থানা আক্রান্ত, তাই এবার ত্রস্ত কলকাতা পুলিশও
- জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের এক আধিকারিকের পরীক্ষার রিপোর্ট সোমবার আসবে
- প্রগতি ময়দান থানার আক্রান্ত আধিকারিকের খবর নেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা
- পুলিশকর্মীদের মাস্ক-গ্লাভস পরতে ও থানাগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন
করোনার কোপে এক পর এক থানা আক্রান্ত, তাই এবার ত্রস্ত কলকাতা পুলিশও। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজ্য়কে করোনা মুক্ত করতে অবরিত খেটে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এদিকে গার্ডেনরিচ, জোড়াবাগান, বড়তলার পরে করোনা কোপে প্রগতি ময়দান থানা। এই থানার আধিকারিকের কোভিড পজ়িটিভ হওয়ার খবর আসতেই চিন্তা বেড়েছে থানার পুলিশকর্মীদের মধ্যে। যার জেরে একাধিক নতুন নির্দেশিকা জারি করলেন অনুজ শর্মা।
জানা গিয়েছে, প্রগতি ময়দান থানার ওই আধিকারিক অসুস্থতার জন্যে ২৪ এপ্রিল থেকে ছুটিতে ছিলেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাঁর জ্বর ও সর্দির উপসর্গের কথা জানান। বৃহস্পতিবার তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনিবার রাতে সেই রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ওই আধিকারিক রবিবার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর স্ত্রী, দেহরক্ষী এবং গাড়িচালককে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। বাহিনীর মনোবল বাড়াতে রবিবার প্রগতি ময়দান থানার আক্রান্ত আধিকারিককে ফোন করে শারীরিক অবস্থার খবর নেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি থানাগুলিকে প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং পুলিশকর্মীদের মাস্ক-গ্লাভস পরতেও বলেছেন। কারণ, থানায় অভিযোগ জানাতে আসা বহু মানুষ স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুয়ে থানায় ঢুকলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছেই।
অপরদিকে, লালবাজার সূত্রের খবর, এপ্রিলেই গার্ডেনরিচ থানার এক আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন। জোড়াবাগান থানার এক অফিসার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেখানকার ৭ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডেরও এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর এক সহকর্মীকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। ওই ট্র্যাফিক গার্ডেরই আর এক আধিকারিক করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার, তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসবে।