সংক্ষিপ্ত
কর্মসংস্থানের দাবি ছাড়াও শিক্ষক ও পুলিশ নিয়োগ-সহ একাধিক সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি যুব মোর্চার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেয়। এই মিছিলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের নেতারা যোগ দিলেও ছিলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিকাশ ভবন অভিযান করেছিল বিজেপির যুব মোর্চা। আর সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ময়ূখ ভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই জলকামান দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। অবশ্য পুলিশের ছাড়পত্র ছাড়াই এই মিছিল করেছিল বিজেপি। তার জেরেই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এবার বিজেপর অভিযানকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, "সুকান্ত মজুমদার হীনমন্যতায় ভুগছেন। সেই কারণে তিনি জলকামানে স্নান করতে গিয়েছিলেন। ওনার জমানায় বিজেপি গো হারা হারছে। সব মিলিয়ে ১১০ থেকে ১২০ জন মিলে রাস্তায় নেমেছেন। তাও আবার সেটা নিরাপত্তারক্ষীদের মিলিয়ে। ভেবেছিলেন জলকামান আছে স্নান করিয়ে দেবে। সেই ভেবেই গিয়েছিলেন।"
আরও পড়ুন- কলকাতায় ঝেঁপে আসতে পারে বৃষ্টি, দিনক্ষণ জানাল হাওয়া অফিস
কর্মসংস্থানের দাবি ছাড়াও শিক্ষক ও পুলিশ নিয়োগ-সহ একাধিক সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি যুব মোর্চার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেয়। এই মিছিলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের নেতারা যোগ দিলেও ছিলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য, রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে চালু হোক মর্নিং স্কুল, নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর
এদিকে মিছিল বিকাশ ভবনের কাছে পৌঁছানোর পরই তা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। তখনই বাধা দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের তরফে ছোড়া হয় জলকামান। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের দফায়-দফায় ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের উপর লাঠিচার্জও করেছে পুলিশ। পুরুষ পুলিশ দিয়ে মহিলা কর্মীদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "গণতন্ত্রকে জলকামানে ভাসিয়ে দিয়েছে তৃণমূল সরকার।" সেই প্রসঙ্গে ফের তাঁকে কটাক্ষ করেন কুণাল। বলেন, "দিল্লিতে যখন জলকামান চলে তখন কেমন লাগে? দিল্লিতে যখন বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়, তখন জলকামান ব্যবহার করতে লজ্জা করে না? উনি হীনমন্যতায় ভুগছেন। আর দিলীপ ঘোষরা বলেছেন উনি অযোগ্য,অপরিণত! উনি আসলে গরমকালে স্নান করতে গিয়েছিলেন।" প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ কিছুদিন আগে বলেছিলেন, "সুকান্ত মজুমদারের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কম।"