সংক্ষিপ্ত
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করছেন। শুভেন্দু অধিকারীর যৌনবিকৃতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন। যদিও শুভেন্দু অধিকারী এখনও পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি কিন্তু এদিন বিধানসভায় বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন
নবান্ন অভিযানের দিনে পুলিশের সঙ্গে বচসার সময় শুভেন্দু অধিকারীর 'ডোন্ট টাচ মাই বডি' এই মন্তব্য নিয়ে এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই মন্তব্য নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করছেন। শুভেন্দু অধিকারীর যৌনবিকৃতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন। যদিও শুভেন্দু অধিকারী এখনও পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি কিন্তু এদিন বিধানসভায় বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। আগামী দিনেই শুভেন্দ তথ্য প্রমাণ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কুণাল ঘোষ শুভেন্দু মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, 'এক নেতার যৌন বিকৃতি ফাঁস হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় নিরাপত্তা রক্ষীকে খুন করেছে এক নেতা।' এখানেই থেমে না থেকে কুণাল আরও বলেন,'দেহরক্ষী অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত মাঝপথে আটকে রয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি যাতে রক্ষীর বাড়ির সদস্যরা ন্যায় বিচার পায়। পুলিশ দেখুক সেই নেতা কে?' যদিও আগেই তিনি নাম করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে সমকামী বলেছেন। তাঁর আগেই অবশ্য একই কথা বলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য্যায়।
যাইহোক বিধানসভায় এই নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'কোনও জেল খাটা লোকের কথার উত্তর আমি দেব না। তিন বছর জেল খাটা নর্দমার কীট! তার কথার উত্র দিতে আমার রুচিতে বাধে।' কিন্তু এরই মধ্য তিনি কুণালকে নাম না করে বাচার ঘোষ বলেন, পাশাপাশি তিনি কুণালকে নাম না করে ' ভাইপোর বেতনভুক কর্মী' বলেও তোপ দাগেন। আর বলেন এর কোনও উত্তর তিনি দেবেন না।
এদিন বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভ নিয়েও বলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারে আমলে একদন নিচু স্তর থেকে দুর্নীতি শুরু হয়েছে। তাঁর প্রায় ১০০ জন নেতার দুর্নীতি সংক্রান্ত তালিকা ও তথ্য প্রমাণ রয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি সবই তুলে ধরবেন। নারদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন সেটা ভ্রান্ত- কেডিএস এই তদন্ত করিয়েছিলেন যা সকলেরই জানা। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সুদীপ্ত সেনের চিঠি ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের বয়ানও তুলে ধরেন তিনি।