সংক্ষিপ্ত

কাশীপুরে বিজেপির যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু রহস্যের তদন্তে সিট গঠন করল লালবাজার।  ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে সিটের তদন্তকারী দলের সদস্যরা।

কাশীপুরে বিজেপির যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু রহস্যের তদন্তে সিট গঠন করল লালবাজার। এই কমিটিতে মোট ৬ জন সদস্য রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগ এবং চিৎপুর থানার আধিকারিকদের নিয়ে তদন্তকারীদের এই বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। কাশীপুরের নিহত বিজেপি যুব নেতার মৃত্যু রহস্যের তদন্ত করবে এই টিম।ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে সিটের তদন্তকারী দলের সদস্যরা।

রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর অর্জুন চৌরাসিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর দাদার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অর্জুন চৌরাসিয়ার মোবাইলের পার্সওয়ার্ড, ইমেল তদন্তকারীদের দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে সিট। ওই নোটিসে বলা হয়েছে, অর্জুনের ফোন উদ্ধার বলেও ওটির পাসওয়ার্ড ব্রেক করতে তারা পারছেন না।। তদন্তকারীদের অনুমান ওই পাসওয়ার্ড ব্রেক করা গেলে , তদন্তে অনেকটাই গতি এনে দেবে। অপরদিকে, অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যু নিয়ে আরও ধোঁয়াশা বাড়ল। যে রাতে অর্জুন মারা যান, সেই রাতে অর্জুনের বাড়ির সামনে একটা জটলা শোনা গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন অর্জুনের মা রেশমি চৌরাশিয়া। এমনকি ওই দিন আর ছেলে বাড়িতে ফেরেননি বলে দাবি মায়ের। তবে কি কেউ অর্জুনকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন, গভীর রাতে এসেছিল গাড়ি, 'মেরে ফেলে দেব, কেউ খুঁজেই পাবে না', কাদের কথা শুনে ফেলেন অর্জুনের মা

এই প্রসঙ্গে অর্জুনের মা বলেন, ওই দিন বাড়িতে শোয়নি অর্জুন। কাজের জন্য বাড়িতে এসেছিল। আবার তাড়াতাড়ি চলে যায়। তখনই বাড়ির সামনে একটা জটলা শুনি। তবে কাউকে দেখতে পাইনি। কিন্তু আমি নিজের কানে শুনেছি, কেউ বলছে, তোকে মেরে এমন জায়গায় ফেলে দেব, কেউ খুঁজেই পাবে না। এতটুকুই শুনতে পেয়েছিলাম। এরপরেই আমরা ছেলেকে খুঁজতে শুরু করি। সারা রাত ধরে ওকে খুঁজি। থানায় যাই। কিন্তু পুলিশের কোনও সহযোগিতা পাইনি।যেদিন ওই কথা শুনি, সেইদিনই যদি এই ঘটনা না ঘটত, তাহলে হয়তো কিছু মনে হতো না।' 

আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড়ের জের, ভাঙন না রুখলে বিলীন হবে কপিল মুনির আশ্রম, হারাবে সুপ্রাচীন গঙ্গাসাগর

আরও পড়ুন, আজই ঘূর্ণাবর্ত রূপ নিতে পারে সাইক্লোন অশনিতে, কলকাতাতেই প্রস্তুত এনডিআরএফ-র ১৭ টিম

রাত তখন ১২টা পেরিয়েছে। যুবনেতার মৃত্যুর রাতেই অর্জুনের বাড়ির সামনে এসে দাড়িয়েছিল একটা ধূসর রঙের গাড়ি। ১২ টা ১৫ থেকে রাত ৩ অবধি ওই এলাকাতেই দাঁড়িয়েছিল গাড়িটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এর আগে ওই গাড়িটিকে কেউ এলাকায় দেখেননি। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল, তাও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ওই গাড়িটি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এরপরও গাড়ির আড়ালে কারা লুকিয়ে ছিল, এনিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই গাড়িটির বিষয় নিয়ে পুলিশেকে জানানো হয়েছে। এখন সিসিটিভির সূত্রে ধরে কাউকে চিহ্নিত করা যায় নাকি, সেটাই বড় বিষয়।