সংক্ষিপ্ত

ঘরভাড়া নিয়ে অফিস খুলে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছে একটি সংস্থা। বহু দিন ধরেই তারা এই ফাঁদ পেতেছিল বলে জানা যাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে লোন পেতে গিয়ে বর্তমানে সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসেছে বহু মানুষ।

কখনও মেয়ের বিয়ে তো কখনও পারিবারিক সমস্যা, বিভিন্ন কারণেই ব্যক্তিগত লোনের জন্য ব্যাঙ্কের বদলে একাধিক ফিন্যান্সিয়াল ফার্মের(Financial firm) সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন বহু মানুষ। অল্প লোনের প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার স্বীকৃত বহু প্রতিষ্ঠানই রয়েছে বর্তমানে আমাদের দেশে। এমনকী বর্তমানে চালু হয়েছে একাধিক অনলাইন ফার্ম(Online firm)। কিন্তু এবার ব্যক্তিগত লোন(Personal loan) পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার(Fraud of lakhs of rupees) অভিযোগ উঠল সল্টলেকে। খোঁজ মিলেছে একটি প্রতারণা চক্রের(Cheating cycle)। যা নিয়েই নতুন করে সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সূত্রের খবর, ঘরভাড়া নিয়ে অফিস খুলে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছে একটি সংস্থা। বহু দিন ধরেই তারা এই ফাঁদ পেতেছিল বলে জানা যাচ্ছে।

তাদের কাছ থেকে লোন পেতে গিয়ে বর্তমানে সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসেছে বহু মানুষ। বর্তমানে বিধাননগর উত্তর থানার(Bidhannagar North Police Station) দ্বারস্থ প্রতারিতরা। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন,তাঁদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে লোনের প্রয়োজন হয়। কারও মেয়ের বিয়ে, কারও বা ব্যবসায়িক কারণে টাকার প্রয়োজন হয়। তখনই খবরের কাগজে একটি বিজ্ঞাপন(Advertising) দেখে তারা ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল খুব সহজেই লোন পাওয়া যাবে। তাতে প্রসেসিং ফ্রি, ইন্সুরেন্স ফ্রি, লাগবে না পে স্লিপও। সঙ্গে ছিল আরও আকর্ষণীয় কিছু অফার। ওই বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়েই বর্তমানে ঘোরতর সঙ্কটে পড়েছেন বহু মানুষ।পুলিশ সূত্রে খবর, সংস্থার তরফে ঋণের ব্যবস্থা করার জন্য প্রসেসিং ফি বাবদ ২০ হাজার টাকালিগ্যাল ফি বাবদ ৫ হাজার টাকা ছাড়াও নানা অজুহাতে আরও কিছু টাকা নেওয়া হয় গ্রাহকদের থেকে।

আরও বর্তমান-গরিব মানুষেরা এখনও দেশের সম্পদ, প্রান্তিক শ্রেণির পাশে দাঁড়িয়ে বড় বার্তা মমতার

এরপরেই বুধবারই ঋণ দেওয়া হবে অফিসে আসতে বলা হয় আবেদনকারীদের। তাই দেখেই আবেদনকারীরা বিজ্ঞাপনে দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করেন তখন দেখা যায় অফিসের গেটে তালা মারা। কেউই নেই অফিসে। ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যাইনি। এরপরই তারা বুঝতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। এরপরই তারা বিধাননগর উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত। সূত্রের খবর, গত তিন-চার মাস ধরে সল্টলেকে সি ই ১৯৫ নম্বর বাড়ির এক তলায় ভাড়া নিয়ে অফিস করে সিলভার ম্যাক্স ফিনসার্ভ নামক কোম্পানিটি চালাচ্ছিল প্রতারকেরা। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার মাথাদের ধরতে জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।