সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যে ১২টি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মোট ১৮০ জন সদস্যকে বিভিন্ন হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গ্রাউন্ডিং-এর মাধ্যমে শুরু হয়েছে মাটিকে শক্ত করার কাজও।
বউবাজারে মেট্রোর কাজের জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সহ ক্ষতিপূরণেরও আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। এই মর্মে শনিবারই নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। উপস্থিত ছিলেন, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ ও রেল বোর্ডের কর্তারা। এই বৈঠকেই বউবাজার এলাকার ৩০ দিনের বেশি গৃহহীন মানুষকে ৫ লক্ষ এবং ভাড়াটে ও দোকানের কর্মীদের ১.৫ লক্ষ টাকা করে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া হবে বলে স্থির হয়। এবার এলাকাবাসীর সাহায্যে রবিবার থেকেই গোয়েঙ্কা কলেজে বসল ক্যাম্প। এই ক্যাম্পে পুলিশ, পুরসভা ও KMRCL-এর প্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের অসুবিধার কথা জানাতে পারবেন স্থানীয়রা।
ইতিমধ্যে ১২টি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মোট ১৮০ জন সদস্যকে বিভিন্ন হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গ্রাউন্ডিং-এর মাধ্যমে শুরু হয়েছে মাটিকে শক্ত করার কাজও।
কয়েকমাস আগেই একই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা। মেট্রোর কাজের জেরে ফাটল দেখা দিয়েছিল একাধিক বাড়িতে। প্রায় চার মাস পর সেই স্মৃতিই ফিরে এল মদন দত্ত লেনে। শুক্রবার ভোররাতে ফাটল দেখা দেয় বৌবাজারের মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে। তারপর থেকেই চূড়ান্ত তৎপরতা কেএমআরসিএল-এ। সূত্রের খবর, শনিবার এলাকার সব বাড়ি ঘুরে দেখবেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ররা। চলছে মাটির মধ্যে রাসায়নিক ঢুকিয়ে মাটি পরীক্ষাও। এখন পর্যন্ত দেড়শোরও বেশি বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। প্রয়োজনে আরও পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে গত ১১ মে মেট্রোর কাজ চলাকালীন, বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে আসে স্থানীয়রা। এই ঘটনার ৪ মাসের মাথায় একই ঘটনার পূণরাবৃত্তি ঘটল মদন দত্ত লেনে। ঘটনা প্রসঙ্গে মদন দত্ত লেনের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, "ভোর চারটে উঠে দেখি বাড়িতে ফটল ধরেছে। বেড়িয়ে দেখি এলাকার একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরায় হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।" অপর এক বাসিন্দা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বলেছেন, "দুর্গা পিতুরি লেনের যাঁরা বাড়ি ছেড়েছিল, তাঁরা কি কেউ বাড়ি পেয়েছে?"
আরও পড়ুন -
দুর্গাকে একটি লজ্জাবতীর পাতা অর্পন করে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান, জানুন কীভাবে সেটি দেবেন
'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া জরুরি', দশেরায় বললেন RSS প্রধান
সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, বিপন্ন হতে পারে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা