সংক্ষিপ্ত
বুধবার সকালে একাধিক পরীক্ষা করা হল মদনের। সবকিছু ঠিক এগোলে বৃহস্পতিবারই মদন মিত্রের অস্ত্রোপচার করা হবে।
বুধবার সকালে একাধিক পরীক্ষা করা হল মদনের ( TMC MLA Madan Mitra)। গতকালই গলায় সমস্যা নিয়ে এসএসকেম-এ ভর্তি হয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। ইতিমধ্যেই এসএসকেম-এ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বুধবার সকালে একাধিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সবকিছু ঠিক এগোলে বৃহস্পতিবারই মদন মিত্রের অস্ত্রোপচার করা হবে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই বিধায়ক মদন মিত্রের গলায় একটা সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যার আরও বাড়তেই বুধবার রাত নটা নাগাদ এসএসকেম ভর্তি করা হয়কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। উডবার্ণ ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। এদিন তাঁর বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিন তাঁর রক্ত পরীক্ষা এবং করোনা টেস্টও করা হবে। এবং এই মুহূর্তে মদন মিত্রের স্বরযন্ত্রের অবস্থা কী তা খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে। ঠিক করা হয়েছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ মাইক্রো সার্জারি করা হবে মদন মিত্রের স্বরযন্ত্রে। আপাতত মদন মিত্রকে কম কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও চিকিৎসকরা ইতিমধ্যেই আশ্বস্থ করে জানিয়েছেন চিন্তা করার কিছু নেই। তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে যাবেন মদন মিত্র।উল্লেখ্য, এসএসকেম-এ ৮ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মদন মিত্রের ইএনটি বিশেষজ্ঞ অরুণাভ সেনগুপ্ত এবং ডি ঘোষ। এর পাশাপাশি চেস্ট মেডিসিনের সোমনাথ কুণ্ডু, অ্য়ানাস্থেসিওলজির এ লাহা ও দেবব্রত দাস, মেজিসিনের সৌমিত্র ঘোষ, কার্ডিওলজির সরোজ মণ্ডল এবং এণ্ডোক্রণলজির শুভঙ্কর চৌধুরি।
আরও পড়ুন, 'দেখা করা সম্ভব নয়', চিঠি পেয়ে রাজ্যপালকে সাফ জানালেন বিমান বন্দ্য়োপাধ্য়ায়
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে এসএসকেম উডবার্ণ ব্লকে ঢোকার সময় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, 'ভোক্যাল কর্ডে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যা ছিল। আমি চেপে রেখেছিলাম। এখন সমস্যাটা বেড়েছে। তাই এখানে ভর্তি হলাম। কথা বললে কাকের মতো শব্দ বের হচ্ছে' বলে জানালেন বিধায়ক। উল্লেখ্য, গত বছর নারদাকাণ্ডে সিবিআই-র হাতে গ্রেফতারের পরেও এসএসকেম-এ ভর্তি হন মদন মিত্র। সেই সময় চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, মদন মিত্রের গলায় একটি ছোট্ট টিউমার রয়েছে। তবে সেটি অপারেশ করার প্রয়োজন নেই। স্পিচ থেরাপি কার হবে বলে তখন জানিয়েছিল এসএসকেম। তবে গত বছর এড়ালেও এবার সম্ভবত অস্ত্রোপচার থেকে মুক্তি মিলল না। কারণ ইতিমধ্যেই এই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোট চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এরপর করোনা থেকে সেরে উঠলেও কোভিডের ক্ষত ধরা পড়ে মদন মিত্রের ফুসফুসে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেম-এ রাখা হয়েছিল মদনকে।তখনই মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়ে। সেবার চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেছিলেন, 'মদন মিত্রের বাঁদিকের কর্ডে ছোট্ট একটা ভোকাল অ্যাঞ্জিওমা পাওয়া গিয়েছে। ওনাকে গলার উপর বেশি জোর না দিতে পরমর্শ দেওয়া হয়েছে। ওনার স্পিচ থেরাপি করতে হবে। ওটা কমলো কিনা তা মাঝে মাঝে দেখতে হবে।' যদি দেখতে দেখতে বছর গড়িয়েছে। শেষঅবধি অস্ত্রোপচারই করছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা।