সংক্ষিপ্ত
আজ অভিযুক্তকে ব্যারাকপুর আদালতের তোলা হবে। সেখানে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে। তারা কোথায় ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
পুজোর (Durga Puja) সময়তেই বড়সড় ডাকাতির (Robbery) ছক কষেছিল এক দুষ্কৃতী (Miscreants)। আর সেই ছক বানচাল করে দিল নারায়ণপুর থানার পুলিশ (Narayanpur Police Station)। অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
শনিবার গভীর রাতে টহলদারির সময় নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত দোন্নগরের কাছে পুলিশের গাড়ি সামনে একটি ১০৭ গাড়ি চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেই গাড়িটিকে থামিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জানা যায়, এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্য তারা জড়ো হয়েছে। এদিকে পুলিশকে দেখেই গাড়ির চালক সহ বাকিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু, একজনকে ধরে ফেলে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম হাসান লস্কর (২১)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসিন্দা সে। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি, ভোজালি, কাস্তে, লোহার রড সহ ডাকাতি করার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন- শান্তি এবং নির্বিঘ্নে পুজো সম্পন্ন করতে ৪০০ অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ পুরুলিয়ায়
আরও পড়ুন- পুজোতে 'খেলা হবে', থিম বানিয়ে চমক ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির
আজ অভিযুক্তকে ব্যারাকপুর আদালতের তোলা হবে। সেখানে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে। তারা কোথায় ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন- 'রিয়া চক্রবর্তীর পর এবার পালা আরিয়ানের', গ্রেফতারি নিয়ে আক্রমণ অধীরের
তবে শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়, উৎসবের মরশুমে জেলাতেও ডাকাতির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। মালদহের চাঁচলে বড়সড় ডাকাতির ছক কষেছিল তারা। পুলিশি তৎপরতায় সেই ছক বানচাল হয়ে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে চাঁচল থানার গৌরহন্ডের একটি আমবাগানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি হাঁসুয়া ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোন ও একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চাঁচল থানার গৌরহন্ডের একটি আমবাগানে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। গোপন সূত্র থেকে আগেই সেই খবর পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এরপর সেই মতো সঠিক সময় সেখানে অভিযান চালায় তারা। তারপর সেখান থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে। তবে বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে হাসিবুল (৪৫), মজিবুর রহমান (২৬) চাঁচল এলাকার বাসিন্দা। বাবর আলি (৩৫) হরিশ্চন্দ্রপুরের ও রাজ্জাক আলি (৫৫) উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।